নয়াদিল্লি, ১৬ ফেব্রুয়ারি : দিল্লির ব্যস্ততম নতুন দিল্লি স্টেশনে ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। শনিবার রাতে নতুন দিল্লি রেল স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় এবং ধাক্কাধাক্কির মধ্যে পড়ে তিন শিশু, ১৪ মহিলা-সহ অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। শনিবার রাত ১০টা নাগাদ পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, নতুন দিল্লি রেল স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের, তাঁদের মধ্যে ১৪ জন মহিলা।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে নতুন দিল্লি স্টেশনের ১৩ এবং ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে কুম্ভমেলার পুণ্যার্থীদের ভিড় ছিল। ওই দুই প্ল্যাটফর্মে ট্রেন আসতে দেরি হচ্ছিল বলেও যাত্রীদের অভিযোগ। কেউ কেউ দাবি করতে থাকেন, দু’টি ট্রেন বাতিল হয়ে গিয়েছে। ফলে ভিড়ের মধ্যে দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। অনেকেই দাবি করেন, পদপিষ্টের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায় ওই দুই প্ল্যাটফর্মে । রেলের দাবি এই সবই গুজব ছিল।
রেলের তরফে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া, শনিবারের ঘটনায় যাঁরা গুরুতর জখম, তাঁরা পাবেন আড়াই লক্ষ টাকা। যাঁদের আঘাত সামান্য, তাঁদের এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। রেল পুলিশের ডিসি বলেন, “প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস ১৪ নম্বর স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল। স্টেশনে প্রচুর মানুষের ভিড় ছিল সেই সময়ে। স্বতন্ত্র সেনানি এক্সপ্রেস এবং ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেস দেরিতে ছিল। তাই ওই দুই ট্রেনের যাত্রীরাও ১২, ১৩ এবং ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছিলেন। ১৫০০ জেনারেল টিকিট বিক্রি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেই কারণেই ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল।” এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, "যখন ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের লোকজন ১৪ এবং ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন দেখতে পায়, তাঁরা ওই প্ল্যাটফর্মগুলির দিকে চলে যায়। ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন করা হয়নি, তবে ভিড় এতটাই বেশি ছিল যে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।"