দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে শিয়ালদহ আদালত । বিচারক অনির্বাণ দাস শনিবার আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন। কিন্তু এখনও অনেকেই মনে করেন, সঞ্জয়কে ফাঁসানো (Scapegoat) হয়েছে। বিশেষ করে তাঁর পাড়ার প্রতিবেশীদের দাবি, সঞ্জয়ের আড়ালে আসল দোষীরা লুকিয়ে আছেন। আবার সিবিআই (CBI) সঞ্জয়কে অপরাধী প্রমাণ করার জন্য ১১ দফা প্রমাণ পেশ করেছে আদালতে। কিন্তু নিজের পাড়ায় কেমন মানুষ ছিলেন সঞ্জয় রায়? সেটা এবার জেনে নেওয়া যাক।
আজ শিয়ালদহ আদালত যেন দুর্গে পরিণত হয়েছে। নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে আদালত চত্বর। প্রায় ৫০০ পুলিশকর্মী মোতায়েন হয়েছে। রয়েছেন দুজন ডিসি পদমর্যাদা আধিকারিকরা, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার রয়ছে ৫জন, ইন্সপেক্টর ১৪ জন, এসআই পদমর্যতার আধিকারিকরা রয়েছে ৩১ জন, এএসআই পদমর্যতার আধিকারিকরা আচে ৩৯ জন, কনস্টেবল রয়েছেন ২৯৯ এবং মহিলা পুলিশ আছেন ৮০ জন।
সঞ্জয়ের এক প্রতিবেশী জানান, বহুদিন ধরেই সঞ্জয়ের মা মানসিক ভাবে সুস্থ নন। ছেলের এই ধরনের কাজ তাঁকে আরও অসুস্থ করে তুলেছে। এক প্রতিবেশী বলেন, যতটা খারাপ ভাবা হচ্ছে ততটা খারাপ নয় আবার ততটাও ভালো নয়। যে সময়ে ঘটনা ঘটেছে, তখন একজন কেমন আচরণ করবেন, তা পরিবেশ পরিস্থিতিপ ওপর নির্ভর করে।
আবার এক প্রতিবেশী দাবি করেন সঞ্জয়ে ফাঁসানো হয়েছে। কিনি বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকে ওপর পরিবারকে দেখছি। মা পুজো নিয়ে থাকেন। তিন বোন। কখনও কারও সঙ্গে অসভ্যতা করতে দেখিনি। সঞ্জয়কে ফাঁসানো হয়েছে।
সঞ্জয়ের এক বোনের বাড়ি সঞ্জয়ের বাড়ির কাছেই। তাঁর জামাই বাবু বলেন, বহুদিন ওদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। বাকি দুই বোনকে কোথায় কীভাবে বিয়ে দিয়েছ, সেই খবরও রাখিনি। আমার মা সকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁকে নিয়ে ব্যস্ত আছি। আজ আমায় রেইাই দিন।
প্রসঙ্গত অগস্ট মাসে ঘটনাটি ঘটে। আরজি করের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় মহিলা চিকিৎসকের দেহ। তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল।