দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ চণ্ডীগড়ের ‘চড় কাণ্ড’ দিল্লিতে পা রাখার পরও পিছু ছাড়েনি কঙ্গনা রানাউতের! বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বিমানবন্দরে নামতেই মাণ্ডির নবনির্বাচিত ‘ক্যুইন’কে প্রায় ছেঁকে ধরেছিলেন সকলে। তবে শুক্রবার সকালেই সংসদের সেন্ট্রাল হলে ক্যামেরাবন্দি হল ‘ব্লকবাস্টার’ দৃশ্য! প্রথম সাক্ষাতেই কঙ্গনাকে বুকে টেনে নিলেন চিরাগ পাসওয়ান। এই কঠিন সময়ে ‘পুরনো হিরো’র তরফে এমন সৌজন্য যে অভিনেত্রীর ক্ষততে মলমের প্রলেপের মতো কাজ করবে, তা বলাই বাহুল্য!
কঙ্গনা-চিরাগ দীর্ঘদিন ধরেই একে-অপরকে চেনেন। ‘মিলে না মিলে হাম’ ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন তাঁরা। মাণ্ডি কেন্দ্র থেকে কঙ্গনা জেতার পর তাঁকে ‘দাপুটে এবং সাহসী নেত্রী’ বলে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন চিরাগ। এবার সংসদে প্রথমবার দেখা হতেই অভিনেত্রীকে কাছে টেনে নিলেন তিনি। দুজনের মুখেই যেন হাসি ঝরে পড়ছিল। সৌজন্য বিনিময়ের পাশাপাশি কথাও হয় দুজনের মধ্যে কিছুক্ষণ।
চব্বিশের লোকসভা ভোটে নবীন প্রজন্মের রাজনীতিকদের মধ্যে নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল মুখ কঙ্গনা রানাউত এবং চিরাগ পাসওয়ান। বিহারের হাজিপুর কেন্দ্র থেকে ৫৩ শতাংশ ভোট নিয়ে জয়ী হয়েছেন রামবিলাসপুত্র। লোক জনশক্তি পার্টির নেতা চিরাগ ৬ লক্ষের বেশি ভোটে জিতেছেন লোকসভা ভোটে। এদিকে মাণ্ডি লোকসভা কেন্দ্রে রাজনীতির ‘নেপোকিড’ বিক্রমাদিত্য সিংকে হারিয়ে জয়ী ক্যুইন কঙ্গনা রানাউত। বিজেপির টিকিটে ৫ লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতে সাংসদ পদে বসতে চলেছেন হিমাচলের ভূমিকন্যা। রাজনীতির ময়দানে পা দিয়েই বিরোধী শিবিরকে যে একেবারে ধরাশায়ী করে দিয়েছেন ‘মণিকর্নিকা’। এই ‘হবু সাংসদ’ অতীতে একসঙ্গে একবার সিনেমার জন্য জুটিও বেঁধেছিলেন। কঙ্গনা-চিরাগের সেই ছবির কথা সম্ভবত অনেকেই জানেন! লোকসভা ভোটে জয়ী দুই প্রার্থীর মার্কশিটে নম্বরের বহর দেখে এবার সেই অতীতকথাই বর্তমানে প্রাসঙ্গিক।