দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানকে ছুরির কোপ।নিজের বাড়িতেই আক্রান্ত সইফ আলি খান। বান্দ্রার অভিনেতার বাংলোয় এক দুষ্কৃতী রাতে ঢুকে হামলা চালায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়েএলোপাথাড়ি কোপানো হয় সইফকে। ঘটনাটি আনুমানিক রাত ২ থেকে ২.৩০-এর মধ্যে ঘটেছিল। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় হামলাকারী। তার পরেই জখম অভিনেতাকে ভর্তি করানো হয় মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে।
মুম্বইয়ের বান্দ্রায় ‘সৎগুরু শরণ বিল্ডিং’ নামের একটি আবাসনে থাকেন সইফ। এই আবাসনেই থাকেন অভিনেতার স্ত্রী তথা বলিউড অভিনেত্রী করিনা কাপূর। সঙ্গে থাকেন তাঁদের দুই সন্তান,আট বছরের তৈমুর এবং চার বছরের জেহ্। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না অভিনেত্রী করিনা কাপুর সম্ভবত তিনি নিজের দিদি কারিশ্মা কাপূর এবং বন্ধু সোনম কাপূর ও রিয়া কাপূরের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন। এমনকি ঘটনার কিছু সময় আগে নিজের ইনস্টাগ্ৰামে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন, সেই ছবিতে দেখা যায় করিশ্মা সোনম এবং রিয়ার সঙ্গে গার্লস নাইটের মুহূর্তে মগ্ন অভিনেত্রী। তাই ঘটনার সময় সইফের স্ত্রী আদেও বাড়িতে ছিলেন ছিলেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।
ইতিমধ্যেই বান্দ্রা থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। এই প্রসঙ্গে এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “সইফ আলি খান লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এটা স্পষ্ট নয় যে, তাঁকে ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে, না কি ডাকাতের সঙ্গে ধস্তাধস্তির জেরে তিনি আহত হয়েছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। একই সঙ্গে এই ঘটনার তদন্ত করছে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।”
অভিনেতার টিমের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যম এবং অনুরাগীদের শান্ত থাকার আর্জি জানানো হয়েছে।
লীলাবতী হাসপাতালের অন্যতম শীর্ষ পদাধিকারী ডাক্তার নীরজ উত্তমানি জানান, ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ সইফকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। অভিনেতার শরীরে ছ’টি ক্ষত রয়েছে। এর মধ্যে দু’টি ক্ষত গভীর বলে জানিয়েছেন নীরজ। তাঁর শিরাদাঁড়ার কাছে আঘাত আছে এমনটা জানানো হয়েছে হাসপাতাল সূত্রে। নিউরো সার্জন নিতিন ডাঙ্গে, কসমেটিক সার্জেন লীনা জইন এবং অ্যানাস্থেশিওলজিস্ট নিশা গান্ধী সইফের অস্ত্রোপচার করার দায়িত্বে। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, অস্ত্রোপচারের পরই বলা যাবে ক্ষত কত গভীর।
অভিনেতা নিজেই একটি বিবৃতি জারি করে ডাকাতির চেষ্টার কথায় সীলমোহর দিয়েছেন। নিজের বিবৃতিতে সংবাদমাধ্যম এবং ভক্তদের ধৈর্য ধরার জন্য অনুরোধ করেছেন সইফ। কারণ বিষয়টি এখন পুলিশি তদন্তের আওতায় রয়েছে। আর এই বিষয়ে তদন্ত কীভাবে এগোচ্ছে, সেটা তিনি জানাতে থাকবেন।