অনিরুদ্ধ সরকার,বাঁকুড়াঃ নিম্নমানের সামগ্রী ও পরিকল্পনার অভাবে হুড়মুড়িয়ে পড়ল জলের ট্যাঙ্ক। গ্রীষ্মের দাবদাহে পানীয় জলের সংকট শহর থেকে গ্রাম সবত্রই, সেই মতো জলের হাহাকার পড়েছিল বাঁকুড়া জেলার নিকুঞ্জপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চুরামনিপুর গ্রামে। সাবমারসাল এর মাধ্যমে বিকল্প পানীয় জলের সমস্যা সমাধান করতেই নল বাহিত জল পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল জলের ট্যাঙ্ক। পানীয় জলের এমন ব্যবস্থা হওয়ায় আশার আলো দেখেছিলেন গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ হল না। দীর্ঘদিনের জলকষ্ট থেকে এবার মুক্তি মিলবে বলে আশা করেছিলেন গ্রামবাসীরা। তবে শুরুতেই হল শেষ, সেই ট্যাঙ্ক নির্মাণের পর হঠাৎ ভেঙে পড়ল।ঘটনার সময় ট্যাঙ্কের ঠিক পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন চুড়ামনিপুর গ্রামের বাসিন্দা গোপাল চট্টোপাধ্যায়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি। জানা যায় দশ দিন আগেই শেষ হয়েছে ট্যাঙ্ক বসানোর কাজ।
ঠিকাদার বরাত পেয়ে গ্রামের মাঝে দুর্গামন্দির সংলগ্ন জায়গায় গভীর নলকূপ খনন করে পাশেই এক হাজার লিটারের ওভারহেড ট্যাঙ্ক বসানো হয়। প্রায় সাত ফুট উঁচু পাকা নির্মাণের উপর এক হাজার লিটারের সিন্থেটিক ট্যাঙ্ক বসানোর কাজ শেষ হয় দিন দশ আগে। পানীয় জলের এমন ব্যবস্থা হওয়ায় আশার আলো দেখেছিলেন গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার। গতকাল বরাত পাওয়া ঠিকাদার ওই ট্যাঙ্কে প্রথম জল ভর্তি করার কথা বলেন গ্রামবাসীদের। ঠিকাদারের কথামতো সাবমার্সিবল পাম্প চালিয়ে ট্যাঙ্ক ভর্তি করতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। তবে ঠিকাদারের এই যুক্তি মানতে নারাজ গ্রামবাসীরা, তাদের অভিযোগ গ্রামের মানুষকে আড়ালে রেখেই এই ট্যাংকের কাজ হচ্ছিল। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের দাবী ট্যাঙ্কটির পুরো নিম্নমানের কাজ হয়েছে। ৫ এমএম রড দিয়ে কাজ হয়েছিল। সেই কারণেই এটা ভেঙে পড়ে।" যত দ্রুত এই কাজ সঠিকভাবে করার ব্যাপারে আর্জি জানিয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা। অপরদিকে এই ঘটনায় ওন্দা বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা বলেন, "এই সরকার লাইসেন্স প্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ সরকার। তারা পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত প্রকল্পকে অনুকরণ করে। এই কাজের সঙ্গে যুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে জেলে ঢোকানো উচিৎ।"