Tripura

1 year ago

Tripura:ত্রিপুরায় নতুন একশটি পিএইচসি খোলা হবে, কৈলাসহরে রাজ্য ভিত্তিক মিশন ইন্দ্রধনুষে উদ্বোধন করে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

Chief Minister Dr. Manik Saha
Chief Minister Dr. Manik Saha

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ কৈলাসহরে রাজ্য ভিত্তিক মিশন ইন্দ্রধনুষ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের দুই মন্ত্রী টিংকু রায়, মন্ত্রী সুধাংশু দাস, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মিশন ডিরেক্টর শুভাশিস দাস, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের সচিব দেবাশীষ বসু সহ সাস্থ্য দফতরের অন্যান্য কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে এত সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি দেখে মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনগণকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন মোট ১৮ দিন এই কর্মসূচি চলবে। মানুষকে বাঁচাতে এই ভ্যাকসিনের বিকল্প নেই। ২০১৪ সালে ভ্যাকসিনের গতিকে ত্বরান্বিত করার জন্য টার্গেট ঠিক করা হয়। মিশন ইন্দ্রধনুষ নেওয়া হয়। ত্রিপুরা ভারতবর্ষের মধ্যে প্রথম সারির রাজ্যের মধ্যে ইমুনাইজেশনের দিকে। আমরা লক্ষ্যের কাছে পৌঁছে গেছি। অল্প বাকি। এই বাকি কাজটা করা সবচাইতে কঠিন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের সচিব দেবাশীষ বসু অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। এরপর মিশন ইন্দ্রধনুষের উপর তথ্যচিত্র পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যভিত্তিক অনুষ্ঠান রাজধানীর বাইরে ঊনকোটি জেলার কৈলাসহরে করার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি জেলা হাসপাতালগুলোর পরিকাঠামো আরও শক্তিশালী করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে একটি শিশুকে টিকা প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর টিংকু রায় বলেন, অনেক উন্নয়ন হয়েছে। প্রত্যেক মহকুমা ও জেলা হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। প্রত্যেক জেলা হাসপাতালে আইসিইউ ও ভেন্টিলেশন চালু করা হয়েছে। আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধাভোগী দুইজন মঞ্চে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন আজকের শিশু কালকের ভবিষ্যৎ। তাদের সুস্থ রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। রাজ্য ৯৮ শতাংশ টীকাকরণের দিকে রাজ্য যাচ্ছে। কোন কাজের ফিনিশিং টাচে আমাদের কিছুটা ঢিলেমি শুরু হয়ে যায়। সবাইকে নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মীকে তিনি ধন্যবাদ জানান। সব সময় সবাইকে সাহায্য করা ও সবাইকে খুশি করা সম্ভব হয় না। আমরা এ বছর মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় বরাদ্দ করেছি। রাজ্যের আটটি জেলায় ড্রাগ রিহেবিলিটেশন সেন্টার খোলা হবে। কৈলাসহর আরজিএম হাসপাতালে একটি সেন্টার খোলা হবে। ধলাই জেলায় একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জন্য ইতিমধ্যে প্রপোজ করা হয়েছে। তিন জায়গায় ট্রমা সেন্টার করা হয়েছে। ধর্মনগরে আরেকটি ট্রমা সেন্টার খোলা হবে। রাজ্যে নতুন একশটি পি এইচ সি খোলা হবে। আমরা কথা না কাজে বিশ্বাস রাখি। চারটি রূপের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

ঊনকোটি ও উত্তর জেলার চেহারা পাল্টে যাবে। এই জেলায় যেহেতু চা শ্রমিকরা বেশি তাই ৪৭৫ জন চার শ্রমিককে জমির অ্যালটমেন্ট দেওয়া হয়েছে। এ বছরের ২৭ হাজার কোটি টাকার বাজেটে ১৭৫৬ কোটি টাকা রাখা হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের জন্য। কোন ব্যক্তি অসুস্থ হলে আমাদের মধ্যে বাহিরে পাঠিয়ে দেওয়ার প্রবণতা বেশি। মহকুমা হাসপাতাল থেকে জেলা হাসপাতাল জেলা হাসপাতাল থেকে আগরতলা। সবই এক জায়গা থেকে পাস করে এসেছেন চিকিৎসকরা।

You might also like!