এত গুণ থাকা সত্ত্বেও রোজ আখের রস খাওয়া যায় না। যাঁদের রক্তে শর্করা বাড়তির দিকে তাঁরা তো বটেই, সঙ্গে যাঁদের স্থূলত্ব সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে বা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে, তাঁদেরও নিয়মিত আখের রস খেতে বারণ করা হয়। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদেরও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া আখের রস না খাওয়াই ভাল। তা ছাড়া, যে মেশিনে আখ পেষা হয়, তার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টিও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া না।
অন্য দিকে, শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হলে কিংবা শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিলে চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ দেন। ডায়েরিয়া, হিট স্ট্রোক, অতিরিক্ত ক্লান্তি কিংবা দুর্বলতা কাটাতে এই পানীয়ের জুড়ি মেলা ভার। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ২৫০ মিলিলিটার ডাবের জলে ক্যালোরির পরিমাণ মাত্র ৪৬। প্রাকৃতিক শর্করা রয়েছে ১০ গ্রামের মতো। তাই শক্তির জোগান বা এনার্জি দেওয়ার ক্ষেত্রে ডাবের জলের চেয়ে আখের রস ভাল।
তবে, ডাবের জলে যে হেতু পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি, তাই যাঁদের রক্তচাপ এমনিতেই কম তাঁদের এই পানীয় বেশি না খাওয়াই ভাল। কিডনির সমস্যা থাকলেও ডাবের জল বেশি খাওয়া যায় না। ডায়াবিটিস রোগীরাও যে রোজ নিশ্চিন্তে এই পানীয় খেতে পারেন, তেমন আশ্বাস পুষ্টিবিদেরাও দেন না। পাশাপাশি, এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, ডাবের জল বা আখের রস কিন্তু সাধারণ জলের বিকল্প হতে পারে না। সারা দিনে অন্তত পক্ষে ৭ থেকে ১০ গ্লাস জল খাওয়ার পর, শারীরিক অবস্থা বুঝে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে পানীয় খেতে পারেন।