কলকাতা, ৫ ফেব্রুয়ারি : সোমবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক রয়েছে। তার পর বিকেল সাড়ে ৪টেয় সব জেলার জেলা শাসক এবং সমস্ত বিভাগীয় প্রধানদের বৈঠকে ডেকেছেন মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা। জেলা শাসকরা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সেই বৈঠকে থাকবেন। দফতরের বিভাগীয় প্রধানরা অনেকে নবান্নে থাকবেন, বাকিরা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্য সচিবের ডাকা ওই বৈঠকের মুখ্য দুটি কার্যসূচি রয়েছে। ২০১১ থাকে এ পর্যন্ত বাংলায় সরকারি পদে কর্মসংস্থানের অবস্থা কী? স্থায়ী ও ঠিকা কর্মী মিলিয়ে কত জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা গিয়েছে।
দুই, বিভিন্ন শ্রেণির পদে এখন কত শূন্যপদ রয়েছে? আদালতের জট কাটার পর ৯ হাজার ৫৩৩ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই জট কাটতেই রাজ্য সরকারি দফতরগুলিতে শূন্য পদের হিসাব করতে বিপুল তোড়জোড় শুরু হতে চলেছে।
অনেকে মনে করছেন, ভোটের আগে বিপুল নিয়োগের ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়তো বিব্রত। এ ব্যাপারে দলেরও অনেকের সবচেয়ে বেশি রাগ হল প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপর। নবান্নের এক আমলার কথায়, রাজ্যে পরবর্তী সব নিয়োগে কঠোর ভাবে স্বচ্ছতা রাখার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে অগ্নি নির্বাপন ও পঞ্চায়েতে প্রায় ৭ হাজার নিয়োগের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। হতে পারে বর্তমান শূন্যপদগুলিতে আরও স্থায়ী ও ঠিকা কর্মী নিয়োগের ঘোষণা করতে পারেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এই ব্যাপারে সম্প্রতি এক জনসভায় মুখ্যমন্ত্রীও বলেন, শিক্ষায় বিপুল নিয়োগের ব্যাপারে তিনি আগ্রহী। প্রচুর শূন্যপদ রয়েছে। কিন্তু সেই সব নিয়োগের ক্ষেত্রে মামলা মোকদ্দমা করে যে বিলম্ব হচ্ছে, তার জন্য বামেদের উপর দায় চাপাতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে ইচ্ছাক়ৃত ভাবে বাধা তৈরি করা হচ্ছে।
মুখ্য সচিব এদিন যে বৈঠক ডেকেছেন তা গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, রাজ্য সরকারের সমস্ত দফতর মিলিয়ে স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীদের জন্য মোট কত শূন্যপদ বর্তমানে রয়েছে তার একটা সমীক্ষা এবার হবে। এবং তা থেকে বোঝা যেতে পারে বাংলায় সরকারি চাকরিতে আগামী দিনে কত কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হতে পারে।