নয়াদিল্লি, ৪ ফেব্রুয়ারি : ভারতীয়-আমেরিকান ব্যক্তিত্ব চন্দ্রিকা ট্যান্ডন গ্র্যামি জিতেছেন। মঙ্গলবার তাঁর এই সাফল্যে অভিনন্দন জানালেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।অমিতবাবু সোমবার রাতে এক্সবার্তায় লিখেছেন, “চন্দ্রিকা ট্যান্ডন জিকে তাঁর মাস্টারপিস মিউজিক অ্যালবাম, 'ত্রিবেণী'-র জন্য গ্র্যামি জেতায় অভিনন্দন। আপনি মানবতার আত্ম-আবিষ্কারের পথ হিসাবে ভারতীয় সঙ্গীতকে বিশ্বমঞ্চে নিয়ে গেছেন। এটি আপনার জন্য পরিপূর্ণতার দিন এবং আমাদের কাছে গর্ব ও আনন্দের দিন।”
সত্তর বছর বয়সি সঙ্গীতশিল্পী চ্যান্ট অ্যালবাম বিভাগে পুরস্কৃত হন। 'ত্রিবেণী' অ্যালবামের জন্য প্রথম গ্র্যামি জেতেন চন্দ্রিকা। এই বিভাগে মনোনয়ন ছিল রিকি কেজের ব্রেক অব ডন, রিউচি সাকামোতোর 'ওপাস', রবি শংকর কন্যা অনুষ্কার 'চ্যাপ্টার টু: হাউ ডার্ক ইট ইজ বিফোর ডন' এবং রাধিকা ভেকারিয়ার ওয়ারিয়র্স অব লাইট'। গ্র্যামি জয়ী চন্দ্রিকাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
প্রসঙ্গত, চন্দ্রিকা কৃষ্ণমূর্তি ট্যান্ডন (জন্ম : ১৯৫৪) একজন ভারতীয়-আমেরিকান ব্যবসায়ী, সমাজসেবী এবং সঙ্গীত শিল্পী। তিনি ম্যাককিনসে অ্যান্ড কোম্পানিতে নির্বাচিত প্রথম ভারতীয়-আমেরিকান মহিলা হিসেবে তাঁর ব্যবসায়িক উদ্যোগের জন্য পরিচিত। ২০১৫ সালে চন্দ্রিকা এবং তাঁর স্বামী রঞ্জন ট্যান্ডন, এনওয়াইইউ পলিটেকনিক স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ১০০ মিলিয়ন ডলার দান করেন। প্রতিষ্ঠানটি এনওয়াইইউ ট্যান্ডন স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং নামে পরিচিত। ওই পরিমাণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনও ভারতীয় আমেরিকানের সবচেয়ে বড় অনুদান। ট্যান্ডন নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক কার্যকলাপ বিষয়ক প্রেসিডেন্টের কাউন্সিল এবং বার্কলে কলেজ অফ মিউজিক-এ প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন। তিনি নিউ ইয়র্ক একাডেমি অফ সায়েন্সেসের বোর্ড অফ গভর্নরস-এও রয়েছেন।