দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃআমের মরশুম শেষের পথে, কিন্তু স্বাদে ভাটা পড়েনি। বাজারে এখনো মিলছে ল্যাংড়া, চৌষা, বোম্বাই আর আম্রপালির মতো প্রিয় জাতগুলি। শুরুর দিকের সেরা আমগুলো হারিয়ে গেলেও, এখনও রয়ে গেছে রসনার তৃপ্তি মেটানোর সুযোগ। যাঁরা আম খেতে ভালবাসেন, তাঁরা আম আরও এক বছর খেতে না পাওয়ার দুঃখে হাতের নাগালে যে আম পাচ্ছেন, তা-ই খাচ্ছেন। আর হয়তো বা একটু বেশিও খাচ্ছেন। কিন্তু খাওয়ার আনন্দে কি ভাবছেন স্বাস্থ্য নিয়ে?
স্বাদে যেমন অতুলনীয়, তেমনই পুষ্টিতে ভরপুর—আম হল প্রকৃতির এক অনন্য উপহার। এতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন, আর নানা ধরনের খনিজ উপাদান, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে তাও সাবধান! সব ভালো জিনিসই মাত্রায় খেতে হয়।আম খেলে শরীর ভাল থাকার পাশাপাশি, ত্বকও ভাল থাকে। কিন্তু আম যতই ‘ফলের রাজা’ হোক, তেমন তেমন পরিস্থিতিতে এই ফল বিপজ্জনকও হয়ে উঠতে পারে। অতিরিক্ত বেশি আম খেলে তার প্রভাব পড়ে শরীরে। বেশি আম খাওয়ার তেমনই কিছু কু-প্রভাবের কথা জেনে রাখা ভাল।
অতিরিক্ত আম খাওয়ার কী কী সমস্যা?
১। হজমের সমস্যা: আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা অন্ত্রের জন্য ভালো হলেও অতিরিক্ত বেশি ফাইবার শরীরে গেলে তা হজমের সমস্যা, পেট ফাঁপা, অ্যাসিডিটি এবং তার ফলে ডায়েরিয়াও হতে পারে।
২। হাইপারক্যালেমিয়া : আমে রয়েছে পটাসিয়াম। রক্তে অতিরিক্ত বেশি পটাসিয়াম জমা হলে হাইপারক্যালেমিয়া হতে পারে। তবে খুবই বিরল পরিস্থিতিতে এই সমস্যা হতে পারে। রক্তে পটাশিয়ামের স্বাভাবিক মাত্রা প্রতি লিটারে। ৩.৫-৫.০ এমএমওএল। এই মাত্রা ৫.৫ বা তার বেশি হলে হাইপার ক্যালেমিয়া হতে পারে। তবে হাইপার ক্যালেমিয়া হলে তা কিডনির ক্ষতি করতে পারে। পেশিদৌর্বল্য, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথাও হতে পারে।৩। ওজন বৃদ্ধি: আমে ক্যালোরি থাকে অত্যন্ত বেশি। তাই বেশি আম খেলে এবং তার সঙ্গে পল্লা দিয়ে শরীর চর্চা না করলে বা ক্যালোরি না ঝরালে ওজন বাড়তে পারে।
৪। ডায়াবিটিস: আমে রয়েছে সুক্রোজ, গ্লুকোজের মতো প্রাকৃতিক চিনি। তাই যাঁদের ডায়াবিটিসের সমস্যা রয়েছে তাঁদের আম মেপে খাওয়া উচিত। কারণ তাতে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
৫। অ্যালার্জি: অনেকের ক্ষেত্রে আম অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। এতে ত্বকে র্যাশ, চুলকানি বা মুখে ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
দিনে ক’টি আম খাওয়া নিরাপদ?
চিকিৎসকেরা বলছেন, এক জন সুস্থ মানুষ দিনে ১-২টি মাঝারি মাপের আম খেলে পারেন। তবে ডায়াবিটিসের রোগী বা প্রিবায়োটিকদের ক্ষেত্রে আম কতটা খাওয়া উচিত, তা তাঁদের চিকিৎসকের থেকে জেনে নেওয়া উচিত।