দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক : আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য পাসপোর্টই সবচেয়ে দরকারি নথি। এটা শুধু ভ্রমণের ছাড়পত্র নয়, বরং একজনের ছবি-সহ পরিচয়পত্রও। ভারতে সাধারণভাবে পাসপোর্টের মেয়াদ হয় ১০ বছর। ১০ বছরের মেয়াদ অনেকটা সময় মনে হলেও, অনেকেই পাসপোর্ট রিনিউ করার বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখেন না। ফলে শেষ মুহূর্তে, ভ্রমণের ঠিক আগে গিয়ে দেখা যায় পাসপোর্টের মেয়াদ প্রায় শেষ – আর তখনই শুরু হয় ঝামেলা।
কী খেয়াল রাখা উচিত
১) অনেকেই ভাবেন, পাসপোর্টের মেয়াদ রয়েছে মানেই তিনি ভিসার আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু বহু দেশে ভ্রমণের সময় পাসপোর্টের মেয়াদ শেষের সঙ্গে অতিরিক্ত ছ’মাস পর্যন্ত সময়কাল প্রয়োজন হয়। তা না থাকলে, শেষ মুহূর্তে ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল হতে পারে।
২) বর্তমান সময়ে পাসপোর্টে প্রয়োজনীয় সময়সীমা না থাকলে বহু বিমান সংস্থা টিকিট কাটার অনুমতি দেয় না। ‘অন অ্যারাইভ্যাল ভিসা’ প্রদান করে, এমন দেশের ক্ষেত্রেও শেষ মুহূর্তে পাসপোর্টের তিন বা ছ’মাস মেয়াদ দেখাতে না পারলে ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে।
৩) মেয়াদ থাকলেও যদি পাসপোর্টে অন্তত দু’টি খালি পাতা না থাকে, তা হলেও একাধিক দেশের ভিসা পেতে সমস্যা তৈরি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে যাঁরা বেশি ভ্রমণ করেন, পাসপোর্টের পাতা শেষ হয়ে এলে পুনর্নবীকরণ করিয়ে নেওয়া উচিত।
৪) ভ্রমণের সময় পাসপোর্টের মেয়াদ সংক্রান্ত এই নীতির নেপথ্যে রয়েছে সম্ভাব্য আপতকালীন পরিস্থিতি। গন্তব্যে পৌঁছে অসুস্থতা, দুর্ঘটনা বা অন্য কোনও কারণে পর্যটককে থেকে যেতে হলে, তখন বৈধ পাসপোর্ট সুবিধা প্রদান করে।
৫) যে দেশে ভ্রমণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে, আগে থেকে তাদের বৈদেশিক নীতি এবং অভিভাসন সংক্রান্ত তথ্য ইন্টারনেট থেকে জেনে নেওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে সমস্যা হবে না।
কী করা উচিত:
ভারতীয়েদের ক্ষেত্রে পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১ বছর আগে পুনর্নবীকরণ করিয়ে নেওয়া উচিত। সে ক্ষেত্রে সুরক্ষিত থাকা যায়। হঠাৎ করে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের প্রয়োজন হলে তড়িঘড়ি পাসপোর্ট পুনর্নবীকরণের প্রয়োজন হয় না। কোথাও যেতে হলে, দেশে ফেরার দিনটির সঙ্গে অন্তত ৬ মাস যোগ করে পাসপোর্টের মেয়াদের দিন মিলিয়ে নেওয়া উচিত।