Life Style News

8 hours ago

Parenting Alert:মেয়েদের জন্য স্মার্টফোন কতটা বিপজ্জনক? ঐশ্বর্যার সিদ্ধান্তে নেটিজেনদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া!

Aishwarya’s No-Phone Rule Divides Netizens
Aishwarya’s No-Phone Rule Divides Netizens

 

দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :যেখানেই যান মা, সঙ্গে থাকেন মেয়ে।  কোনও ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল হোক বা বলিউডের জাঁকজমকপূর্ণ কোনও বিয়েবাড়ি—ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের পাশে সবসময় দেখা যায় আরাধ্যাকে। দু’জনে যেন একে অপরের ছায়াসঙ্গী। অনেকের চোখে এ এক আদর্শ অভিভাবকত্ব, যেটা বলিউডে খুবই বিরল। তবে কেউ কেউ বলছেন, সন্তানের উপর এতটাই নিরবচ্ছিন্ন নজরদারি আদতে একরকম চাপ তৈরি করে—যার নাম ‘অতিরিক্ত কনট্রোল’।

ঐশ্বর্যার অভিভাবকত্ব নিয়ে নেটাগরিকদের কটাক্ষ থাকেই, “মেয়ে কত বড় হয়ে গেল, তা-ও এক মুহূর্ত একা ছাড়েন না ঐশ্বর্যা!” সম্প্রতি অভিষেক বচ্চন মেয়ের লালনপালনের সমস্ত কৃতিত্ব তাঁর স্ত্রীকে দিয়ে জানান, ঐশ্বর্যা এখনও আরাধ্যাকে স্মার্টফোন দেননি। সমাজমাধ্যমের কোনও মঞ্চে এখনও নাম লেখাননি অমিতাভ বচ্চনের নাতনি।

প্রশ্ন জাগে, —আরাধ্যার বয়স তো এখন সাড়ে ১৩। তাহলে সন্তানকে প্রথম স্মার্টফোন দেওয়ার সঠিক সময়টা ঠিক কখন?

ওয়াশিংটন ডিসি-র একটি অলাভজনক গবেষণা সংস্থা ‘সেপিয়েন ল্যাবস’ এই বিষয়ে গবেষণা করে। ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশেও তাদের একটি গবেষণাকেন্দ্র রয়েছে। সেই সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী, যত দেরিতে শিশুদের নিজস্ব স্মার্টফোন হবে, ততই মানসিক সমস্যা কমবে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিশেষ করে ১২ বছর বয়সের আগে স্মার্টফোন পেয়ে গেলে মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। গবেষণায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, অন্তত ১৪ বা ১৫ বছর বয়সে তা-ও স্মার্টফোন দেওয়া যেতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, স্মার্টফোনের ব্যবহার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর সম্ভবত নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে। গবেষণা জানাচ্ছে, প্রথম বার স্মার্টফোনের মালিক হওয়ার বয়স ৬ থেকে ১৮, এর মধ্যে যে কোনও একটা হতে পারে। ফোন পাওয়ার বয়স যত বাড়ে, মানসিক রোগে ভোগার সংখ্যা কমতে থাকে। তা মেয়েদের ক্ষেত্রে ৭৪ শতাংশ থেকে ৪৬ শতাংশ আর ছেলেদের ক্ষেত্রে ৪২ শতাংশ থেকে ৩৬ শতাংশ হয়।

স্মার্টফোন হাতে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনেক কিশোর ডুবে যায় সমাজমাধ্যমের রঙিন ফাঁদে।যতক্ষণ না অনলাইন নিরাপত্তা সম্পর্কে পূর্ণ সচেতনতা তৈরি হয়, ততক্ষণ ফোন হাতে না দেওয়াই শ্রেয়।যদিও স্মার্টফোনের জন্য ‘সঠিক’ বয়স বলে আদপে কিছু হয় না। কেউ কেউ কম বয়সে দায়িত্বশীল হতে পারে, সে ক্ষেত্রে ফোন পেলেও তার অপব্যবহার করে না। আবার কারও ক্ষেত্রে বড় হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলে সে উপকৃত হতে পারে।আবার কোনও ক্ষেত্রে বাবা-মায়েরা অত্যন্ত শৃঙ্খলা মেনে সন্তানপালন করতে চান বলে ফোন দেন না হাতে।ঐশ্বর্যা বোধহয় সেই বয়সের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন, যেটিকে তিনি ফোন ব্যবহারের উপযুক্ত সময় বলে মনে করেন। অথবা গবেষণা মেনে আরাধ্যার ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করতেও পারেন অভিনেত্রী।


You might also like!