দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: কসবার বেসরকারি আইন কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের মতো মর্মান্তিক ঘটনায় তদন্ত কতদূর এগিয়েছে, তা জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার গুরুত্ব এবং স্পর্শকতা বিবেচনা করে রাজ্য সরকার ও কলেজ কর্তৃপক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি, কেস ডায়েরিও তলব করা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে এই সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে।
এই মামলার শুনানিতে বিচারপতিরা স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন—এমন একটি গুরুতর অভিযোগের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও দ্রুত তদন্ত অপরিহার্য। শুধুমাত্র অপরাধীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করলেই চলবে না, প্রমাণ এবং বিচারপ্রক্রিয়ার ভিত্তি মজবুত করতে হবে। রাজ্যকে এই তদন্তের পূর্ণাঙ্গ অগ্রগতির চিত্র আদালতের সামনে তুলে ধরতে হবে।
কী কী অভিযোগের প্রেক্ষিতে হলফনামা তলব করা হয়েছে?
১) একজন প্রাক্তনী কীভাবে কলেজে প্রবেশাধিকার পায়?
২) কলেজের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেও কেন কর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন?
৩) অনধিকার প্রবেশ আটকাতে কী ব্যবস্থা আছে?
৪) আগে অভিযোগ জানানো হলেও কেন কলেজ এবং পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেনি?
৫) সিসিটিভি বা অন্য নজরদারি ব্যবস্থায় কেন খামতি ছিল?
উল্লেখ্য, এদিন আদালতে নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী জানিয়েছেন, “সিট আমাদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছে। সিটের উপর আমাদের আস্থা আছে।” কসবার আইন কলেজে গণধর্ষণের মতো লজ্জাজনক ঘটনার তদন্ত যে শুধু পুলিশি রিপোর্টে সীমাবদ্ধ থাকবে না, তা স্পষ্ট করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা, প্রশাসন এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ—তিন পক্ষকেই এবার জবাবদিহি করতে হবে আদালতের সামনে। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে এই মামলার তদন্ত রিপোর্ট ও হলফনামা জমা পড়লেই পরিষ্কার হবে—বিচারের পথে কতটা এগোতে পেরেছে বাংলার প্রশাসন। এখন নজর সেই দিকেই।