নয়াদিল্লি, ২৯ জুন : রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর মাসিক বেতার অনুষ্ঠান মন কি বাত এ নিজের চিন্তাভাবনা দেশ-বিদেশের মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন। এটি ছিল তাঁর মন কি বাত অনুষ্ঠানের ১২৩-তম পর্ব।
এদিন তিনি বলেন, যখন কেউ তীর্থযাত্রায় বেরোন, তখন একটাই ভাবনা আসে মনের মধ্যে, “চলো, ডাক এসেছে”। এই ভাবনাই আমাদের ধার্মিক যাত্রার আত্মাস্বরূপ। এইসব যাত্রা শরীরের অনুশাসনের, মনের শুদ্ধির, পারস্পরিক প্রেম ও ভ্রাতৃত্ববোধের, ঈশ্বরের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মাধ্যম। এগুলো ছাড়া, এইসব যাত্রার আরও একটা বড় দিক আছে। এইসব ধার্মিক যাত্রা সেবার সুযোগের এক মহা-অনুষ্ঠানও বটে। যখন কোনও একটা যাত্রা হয় তখন যত মানুষ যাত্রায় বেরোন তখন তার থেকে বেশি মানুষ তীর্থযাত্রীদের সেবার কাজে যুক্ত হন। বিভিন্ন জায়গায় ভাণ্ডারা আর লঙ্গর স্থাপিত হয়। মানুষ রাস্তার পাশে জলসত্র খোলেন। সেবার ভাবনা থেকেই মেডিকেল ক্যাম্প এবং নানারকম সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়। কত মানুষ নিজের খরচে তীর্থযাত্রীদের জন্য ধর্মশালা আর থাকার ব্যবস্থা করেন।
দীর্ঘ সময়ের পর আবার কৈলাস মানস সরোবর যাত্রার শুভারম্ভ হয়েছে। কৈলাস মানস সরোবর, অর্থাৎ ভগবান শিবের ভূমি। হিন্দু বৌদ্ধ জৈন প্রতিটি পরম্পরাতেই কৈলাসকে শ্রদ্ধা ও ভক্তির কেন্দ্র রূপে মনে করা হয়েছে। ৩ জুলাই থেকে পবিত্র অমরনাথ যাত্রা শুরু হতে চলেছে এবং শ্রাবণের পবিত্র মাস আসতেও আর অল্প কিছুদিনই বাকি। কয়েকদিন আগে আমরা ভগবান জগন্নাথজীর রথযাত্রাও দেখেছি। ওড়িশা, গুজরাত হোক কিংবা দেশের যে কোনও প্রান্ত - লক্ষ লক্ষ ভক্ত এই যাত্রায় শামিল হন। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম - এই যাত্রাগুলি "এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত" ভাবনার প্রতিবিম্ব। আমরা যখন শ্রদ্ধার সঙ্গে, সম্পূর্ণ সমর্পিত হয়ে এবং সকল অনুশাসন মেনে আমাদের ধর্মীয় যাত্রা সম্পন্ন করি তখন তার ফলও পাওয়া যায়। আমি যাত্রায় অংশ নেওয়া সকল সৌভাগ্যশালী ভক্তদের আমার শুভকামনা জানাই। যে সকল মানুষ সেবার ভাবনা থেকে এই যাত্রাগুলিকে সফল ও সুরক্ষিত করায় যুক্ত আছেন তাদেরও আমি অভিনন্দন জানাই।