দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক : ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’-এর চল বেড়েছে আজকাল। অনেকেই ওজন কমানোর জন্য নতুন ধরনের উপবাস করছেন। তারই একটা পদ্ধতি হল—২৪ ঘণ্টা শুধু জল খেয়ে থাকা। এই সময় এক ফোঁটাও খাবার খাওয়া যাবে না, শুধু জল খেয়ে থাকতে হয়।এই উপবাসকে বলে ওয়াটার ফাস্টিং। সম্প্রতি নেটদুনিয়ার জনপ্রিয় স্বাস্থ্য-প্রশিক্ষক এবং লেখক বেন আজ়াদি এমন উপবাসের পক্ষে একাধিক যুক্তি দিয়েছেন। তাঁর মতে, এই ধরনের উপবাসের ফলে জেদি ফ্যাট পোড়ে, অন্ত্রের স্বাস্থ্য ও ইনসুলিন সেনসিটিভিটি উন্নত হয়। তবে এই পদ্ধতি কাদের জন্য ভাল, কাদের জন্য নয়? জানাচ্ছেন মধুমেহর চিকিৎসক অভিজ্ঞান মাঝি।
এমন উপবাসের উপকারিতার কথা স্বীকার করলেন চিকিৎসক। তাঁর কথায়, ‘‘যদিও এটি এখন নতুন ভাবে জানছেন সকলে, কিন্তু এর প্রয়োগ বৈদিক যুগের সময়কাল থেকে চলে আসছে। জল ছাড়া অন্য কিছু না খেয়ে ২৪ ঘণ্টা কাটিয়ে দিলে অন্ত্রকে সম্পূর্ণ বিশ্রাম দেওয়া যায়। এর বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতা রয়েছে। শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমতে পারে একেবারে প্রাকৃতিক ভাবে ভাবে, ওজন হ্রাস হয়, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, কোষের মেরামতি হতে পারে, তা ছাড়া কয়েকটি রোগ যেমন ডায়াবিটিস, ডিসলিপিডেমিয়া, কয়েক ধরনের ক্যানসার, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।’’ কিন্তু পাশাপাশি, এর কয়েকটি ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। খুব ঘন ঘন বা দীর্ঘ ক্ষণ উপবাস করলে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যেতে পারে এবং যাঁরা ডায়াবিটিসের ওষুধ খান নিয়মিত, তাঁদের সুগারের মাত্রা দ্রুত করে নেমে যেতে পারে। অর্থাৎ ইউরিক অ্যাসি়ড বেশি থাকলে এবং হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকলে এই উপবাস করা একেবারেই উচিত নয়।
অভিজ্ঞানের কথায়, ‘‘যাঁরা স্থূলকায়, যাঁদের মেটাবলিক সিন্ড্রোম আছে অথবা হাইপোথাইরয়েডের রোগী, তাঁদের জন্য ২৪ ঘণ্টার এই উপবাস কার্যকরী। তবে সপ্তাহে এক বার অথবা খুব বেশি হলে দু’বার এই নিয়ম মানতে পারেন। এর বেশি নয়। তাতে হিতে বিপরীত হবে।’’