ট্রেন্টন (নিউ জার্সি),৩ জুলাই: রোমাঞ্চ খোঁজার ফাঁদেই পা! স্কাইডাইভিংয়ের উত্তেজনায় যখন প্রস্তুত হচ্ছিলেন ১৫ জন, ঠিক তখনই বিপর্যয়। মাঝ আকাশে হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটি, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ভেঙে পড়ল বিমান। নিউ জার্সির ট্রেন্টনের কাছে এক ঘন জঙ্গলে বিধ্বস্ত হয় স্কাইডাইভিং-এর সেই বিমান। ঘটনায় গুরুতর আহত হলেন অন্তত ১৫ জন। বুধবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় সারা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য। ‘দ্য মিরর ইউএস’-এর তথ্য অনুযায়ী, বিমানটি উড়েছিল স্থানীয় ‘ক্রস কিজ’ এয়ারফিল্ড থেকে। কিছু সময় পরই ভেঙে পড়ে পাশের জঙ্গলে। বিমানে থাকা সকলকেই গুরুতর আঘাত নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় এক হাসপাতালে। ঘটনার পরেই গ্লুসেস্টার কাউন্টি ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট অফিস এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে। প্রশাসনের মতে, বিমানটি সম্ভবত ওভারলোডেড ছিল না। কিন্তু স্পষ্ট যান্ত্রিক গাফিলতি বা উড়ান পূর্ব সতর্কতার অভাব থাকতে পারে। তদন্ত শুরু হয়েছে।
ওহায়োতেও আকাশ থেকে নামল অকালমৃত্যু, একই পরিবারের ৪ জন-সহ মৃত ৬। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই উঠে এল আরও একটি ধাক্কা মর্মান্তিক এল আরও একটি ধাক্কা। ওহায়োতে রবিবার একটি ছোট বিমান ভেঙে পড়ে ইয়াংস্টাউন-ওয়ারেন অঞ্চলে। মৃত্যু হয় ছয়জনের। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন একই পরিবারের চারজন। পরিবারটি ওই অঞ্চলের একটি স্টিল কারখানার মালিক। পাইলট জোসেফ ম্যাক্সিন (৬৩), সহ-পাইলট টিমোথি ব্লেক (৫৫), ভেরোনিকা ভেলার (৬৮), তাঁর স্বামী জেমস ভেলার (৬৭), তাঁদের ছেলে জন (৩৬) এবং পুত্রবধূ মারিয়া (৩৪)— প্রত্যেকেই ছিলেন উড়ানটিতে। রানওয়ে থেকে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে বিমানটি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই ধরণের বেসরকারি ছোট বিমানের দুর্ঘটনার সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, পর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণ না করেই উড়ছে বিমান। নিরাপত্তার প্রশ্নে তাই উঠছে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন।