২০২২ সালের প্রাথমিক নিয়োগে প্যানেল থেকে যাঁরা বাদ পড়েছিলেন, এবার তাঁদের জন্য আশার আলো। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ২,১২৪ জন প্রার্থীর নথি ফের খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পর্ষদ সূত্রে খবর, ওই চাকরিপ্রার্থীদের নথি ঠিকঠাক থাকলে তাঁদের প্যানেলভুক্ত করা হবে।
‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুলিং’ থেকে ১৮ মাসের ডিএলএড কোর্স করেছিলেন ওই চাকরিপ্রার্থীরা। পরে তাঁরা ২০২২ সালের প্রাথমিকের পরীক্ষায় বসেছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুলিং’ থেকে যাঁরা ডিএলএড পাশ করেছেন, তাঁদের ডিগ্রি বৈধ নয়। এর পরেই ওই চাকরিপ্রার্থীরা প্যানেল থেকে বাদ পড়ে যান।
পরে ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন’ (এনসিটিই) জানায়, ২০১৭ সালের পয়লা এপ্রিলের আগে কর্মরত অবস্থায় কেউ ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওপেন স্কুলিং’ থেকে ডিএলএড করলে, তা বৈধ বলে গণ্য হবে। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রায় ১২০০ জন চাকরিপ্রার্থীর নথি যাচাই করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশকে হাতিয়ার করে ২১২৪ জন চাকরিপ্রার্থী হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন। তার ভিত্তিতেই ওই চাকরিপ্রার্থীদের নথি যাচাইয়ের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত।
পর্ষদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ২২ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত (রবিবার বাদ দিয়ে) নথি যাচাইয়ের প্রক্রিয়া চলবে। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের মার্কশিট, জন্ম শংসাপত্র, টেট শংসাপত্র যাচাই করা হবে। পাশাপাশি ২০১৭ সালের আগে তাঁরা যে স্কুলে কর্মরত ছিলেন, তার বেতন কাঠামো-সহ মোট ১৩ রকমের নথি যাচাই করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে পর্ষদ।