
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েক দিন আগে জানা যায় যে, হেমা মালিনী দিল্লিতে প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্রের স্মরণে বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজিত করেছেন। বিজেপির তারকা সাংসদের ডাকে বৃহস্পতিবার বিকেলে নিউ দিল্লির জনপথে ডক্টর আম্বেদকর ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে ধর্মেন্দ্রর স্মরণসভায় অনুষ্ঠানে মূল অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কিরণ রিজিজু, ওম বিড়লা, কঙ্গনা রানাউত সহ অন্যান্য রাজনৈতিক এবং বিনোদন জগতের ব্যক্তিত্বরা। তবে সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন না ‘হিম্যান’-এর প্রথম পক্ষের দুই ছেলে সানি দেওল, ববি দেওল।
স্মরণসভায় অমিত শাহ ধর্মেন্দ্রকে “অত্যন্ত পবিত্র হৃদয়ের মানুষ” হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “ধর্মেন্দ্রজি ছিলেন অত্যন্ত পবিত্র হৃদয়ের একজন মানুষ। আজ, আমি এখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আসিনি, এসেছি ধর্মেন্দ্রজির ভক্ত হিসেবে। উনি এমন একটা সময়ে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন, যখন সেখানে খুব বেশি টাকাপয়সার ব্যাপার ছিল না। আজ আমরা যে ধরনের বিলাসিতা দেখি, সেটাও ছিল না। কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার মাধ্যমে উনি এই মর্যাদা অর্জন করেছিলেন। যে মানুষটি ‘শোলে’র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন, তিনিই আবার ‘চুপকে চুপকে’তেও সম্পূর্ণ ভিন্ন চরিত্রে অনায়াসে অভিনয় করতে পারতেন।”

‘হিম্যান’-এর স্মৃতিচারণা করে অমিত শাহ বলেন, “ধর্মেন্দ্রজির সঙ্গে আমার কখনও ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ হয়নি। হেমাজি সাংসদ হওয়ার পর একবার উনি আমাকে ফোন করেছিলেন। একটি চিঠিও লিখেছিলেন। উনি চিন্তিত ছিলেন যে, হেমাজি যেন তার নির্বাচনী এলাকা থেকে ভালো ভোটের ব্যবধানে জেতেন, আর সেকথাটা তিনি চিঠিতে উল্লেখও করেন। এবং ঠিক সেটাই হয়েছিল। হেমাজি খুব ভালো ব্যবধানে জিতেছিলেন সেবার।” প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে রাজস্থানের বিকানেরে বিজেপির টিকিটে জিতে সাংসদ হন ধর্মেন্দ্র। তবে এদিন তাঁর স্মরণসভায় অমিত শাহ মূলত রাজনৈতিক দিক নিয়ে নয়, বরং ‘ব্যক্তি ধর্মেন্দ্র’ এবং ‘স্টার ধর্মেন্দ্র’কে কেন্দ্র করে স্মৃতিচারণা করেন।
শাহের সংযোজন, “আমি ধর্মেন্দ্রজির একাধিক দেশাত্মবোধক ছবি দেখেছি। বিশেষ করে ‘আঁখে’ অনেকবার দেখেছি। তখনও মনে হয়েছিল যে ওঁর অভিনীত চরিত্রটি সত্যিকারের দেশপ্রেমিক। শুধু অভিনয়ের জোরে নয়, মন থেকেই উনি দেশপ্রেমিক ছিলেন। গোটা বিশ্ব জানে যে ধর্মজি একজন কৃষকের ছেলে ছিলেন এবং দেশকেমনপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসতেন। তাই ৯০ বছর বয়স হলেও ধর্মেন্দ্রজির চলে যাওয়া এক বিরাট ক্ষতি। ঈশ্বর তাঁর মহান আত্মাকে শান্তি প্রদান করুন। বন্দে মাতরম!” অনুষ্ঠানে হেমা মালিনীও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এবং প্রিয় অভিনেতার স্মৃতিচারণা করেন।
