
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: দলগুলি মুখে গণতন্ত্রের বুলি দিলেও তাদের অভ্যন্তরীণ কার্যকলাপে একচ্ছত্র আধিপত্য দেখা যায়। কোনো প্রকার গণতান্ত্রিক নিয়ম বা গঠনতন্ত্র মেনে না চলে স্রেফ নেতৃত্বের ইচ্ছায় দল পরিচালিত হয়! এই ধারাবাহিকতায় কি নির্বাচন কমিশন এবার অবসান ঘটাবে? কমিশনের সর্বশেষ পদক্ষেপ সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছে যে, আগামী এক মাসের মধ্যে সমস্ত স্বীকৃত রাজনৈতিক দলকে তাদের দলীয় সংবিধানের নতুনতম প্রতিলিপি কমিশনে জমা দিতে হবে।
গত সোমবার কমিশনের তরফে স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলির প্রধানকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট দলের সংবিধান, তাতে যদি কোনও বদল হয়ে থাকে, সেটার উল্লেখ সহ কমিশনের কাছে জমা দিতে হবে। দলীয় সংবিধান একটি দলের লক্ষ্য সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে থাকে। তাই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাজ চালানোর জন্য সেটা জরুরি। শোনা যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশন নিজেদের ওয়েবসাইটে সব রাজনৈতিক দলের সংবিধান আপলোড করতে চায় কমিশন। সেই সঙ্গে দলগুলির অন্দরের সব সিদ্ধান্ত ওই সংবিধান অনুযায়ী হচ্ছে কিনা, সেটাও দেখা হবে। যদিও রাজনৈতিক দলের সংবিধানে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে না নির্বাচন কমিশন।
আসলে বহু রাজনৈতিক দল দীর্ঘদিন সংবিধান সম্পর্ক নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করেনি। এমনকী বহু দলের আদ্যিকালের সংবিধানে বদল এলেও কমিশনকে সে বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয় না। ফলে দলগুলির অন্দরে গণতন্ত্র আছে কিনা সেটা কমিশন বা সাধারণ ভোটার কারও কাছেই স্পষ্ট নয়। এই নির্দেশিকায় সেই দলগুলিকেই নিশানা করতে চেয়েছে কমিশন। তবে মনে করা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের নিশানায় মূলত পরিবারতান্ত্রিক আঞ্চলিক দলগুলি।
