দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ শুধুমাত্র শিক্ষিত হলেই চলবেনা, শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যত্মিকভাবেও নিজেকে গড়ে তোলা প্রয়োজন। যা আয়ুষ্মান ভারত স্কুল হেলথ্ মিশনের মূল লক্ষ্য। রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর এবং জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের সহযোগিতায় আয়ুষ্মান ভারত স্কুল হেলথ মিশনের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা একথা বলেন।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, শিশুরাই আগামী দিনে দেশের দিশারী। তাই শিশুদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে রাজ্যের বর্তমান সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আয়ুষ্মান ভারত স্কুল স্বাস্থ্য মিশনটি শিশুর সর্বোত্তম শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা অর্জন সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন, আজকের এই প্রকল্পটি পাইলট প্রকল্প হিসাবে প্রাথমিকভাবে ত্রিপুরায় ১২৫টি বিদ্যাজ্যোতি স্কুলে চালু করা হচ্ছে। প্রায় ৯০ হাজার শিক্ষার্থী সরাসরি এই কর্মসূচির মাধ্যমে উপকৃত হবে। এর সফল রূপায়নের পর রাজ্যের অন্যান্য সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে প্রসারিত করা হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে বলেন, রাজ্যের বর্তমান সরকার রাজ্যবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করে চলছে। রাজ্যের বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় চালু কর্মসূচিগুলি আরও সক্রিয় করার উদ্দেশ্য নিয়েই আয়ুষ্মান ভারত স্কুল হেলথ্ মিশন সূচনা করা হয়েছে। নীতি আয়োগের মার্গ দর্শন এবং রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই কর্মসূচি ইতিবাচক ভূমিকা গ্রহণ করবে বলে সচিব আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নীতি আয়োগের সদস্য ডা. ভি কে পাল, শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভাল হেমেন্দ্র কুমার, নীতি আয়োগের স্টেট নোডাল অ্যাডভাইসর রাজিব সেন প্রমুখ। উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে রাজ্যে রাষ্ট্রীয় বাল স্বাস্থ্য কার্যক্রমে (আরবিএসকে) উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য বিভিন্ন জেলা, পিএইচসি, সিএইচসি ইত্যাদিগুলিকে পুরস্কৃত করা হয়।