
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনী (SIR) প্রক্রিয়ার খসড়া প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই উত্তাল হয়ে উঠেছিল মতুয়া অধ্যুষিত এলাকাগুলো। তালিকায় নাম না থাকায় নিজেদের নাগরিকত্ব হারানো এবং ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার আশঙ্কায় মতুয়াদের একাংশ যখন আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছে, ঠিক তখনই তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।মঙ্গলবার কলকাতার সাংবাদিক সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে জানান যে, ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ার ঘটনায় মতুয়াদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গে এসআইআর শুরু রাজনৈতিক চক্রান্ত বলেই বারবার দাবি করেছে শাসকদল তৃণমূল। এনিয়ে কম তর্কবিতর্ক হয়নি। ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষজন। যদিও বিজেপির তরফে তাঁদের বারবার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, যে চিন্তার কোনও কারণ নেই। মতুয়া মহাসংঘের এক সংঘাতিপতি শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে মতুয়া কার্ডও বিলি করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হতে দেখা যায়, বহু মতুয়াদের নাম তাতে নেই। এরপরই সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, “ভোটার তালিকা থেকে ৫০ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিমের নাম যদি বাদ যায়। সেখানে ১ লক্ষ আমাদের লোক (মতুয়া) যদি বাদ যায়, তাহলে আমাদের এটুকু সহ্য করতে হবে, সহ্য করে নেওয়া উচিত।”
শান্তনু ঠাকুরের এই মন্তব্য মোটেই ভালোভাবে নেয়নি মতুয়ারা। গাইঘাটার ঠাকুরবাড়িতে প্রতিবাদ সভার ডাক দিয়েছিলেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহা সংঘের আরেক সংঘাধিপতি তথা তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। তা নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আগামী ৫ জানুয়ারী পথ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন মমতাবালাপন্থী মতুয়ারা। এসবের মাঝেই কলকাতা থেকে সেই ভয়ের অবসান ঘটালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শান্তনু ঠাকুরকে পাশে নিয়েই তিনি বললেন, “মতুয়াদের ভয়ের কোনও কারণ নেই। যারা শরণার্থী হয়ে বাংলায় এসেছে, কেউ ওদের ক্ষতি করতে পারবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পারবেন না। তাঁদের সকলকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।”
