হুগলি, ১৫ সেপ্টেম্বর: স্বপ্নাদেশ পেয়ে শুরু হয়েছিল পুজো। এবছর ৭৭ তম বর্ষে পা দেবে হুগলির কোন্নগরের চক্রবর্তী বাড়ির দুর্গা পুজো। প্রাচীন রীতি মেনে আজও মহালয়ের পরদিই হয় পুজো। তার পর দশমীতে বিসর্জন।
হুগলি জেলার কোন্নগরের চক্রবর্তী বাড়ির গৃহকর্তা নলিনীকান্তি চক্রবর্তী স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন। দেবী দুর্গা তাঁর হাতে পূজিত হতে চেয়েছিলেন। তার পরই মা দুর্গার পুজো শুরু চক্রবর্তী বাড়িতে। নলিনীকান্তি চক্রবর্তী নিজেই ছিলেন পুরোহিত। এই পুজোর ঐতিহ্য সম্পর্কে পরিবারের সদস্য শুভায়ন চক্রবর্তী জানান, তাঁর দাদু স্বপ্নাদেশ পান যে বাড়িতে মায়ের পুজো করতে হবে। সেই মতো বাড়িতে শুরু হয় দুর্গা পুজো।
মহালয়ার পরদিনেই পুরো পুজো সম্পন্ন হয়। দশমীর দিন ঘট বিসর্জন করা হয় গঙ্গায়। চক্রবর্তী বাড়ির প্রতিমাতেও রয়েছে বিশেষত্ব। তাঁদের প্রতিমা কষ্টি পাথরের। ফলে তা ভাসান দেওয়া হয় না। তবে প্রত্যেক বছর মা দুর্গা নতুন করে সাজেন।
এখানে মা দুর্গা একাই থাকেন। থাকে না কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী। সমস্ত নিয়ম মেনে ভোগপ্রসাদ ও যজ্ঞের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় পুজো। এই পুজোর আরও একটি প্রাচীন রীতি হল দেবীকে গান শোনানো। কথিত রয়েছে, দেবী নাকি গান শুনতে ভালবাসেন। তাই মহালয়ার পর থেকে প্রতিদিন নিয়ম মেনে পরিবারের সদস্যরা নিজের গলায় গান শোনান দেবীকে। এই পুজোকে কেন্দ্র করে মেতে ওঠেন চক্রবর্তী পরিবারের সদস্যরা।