দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: অনেকেই রাতের খাবারে শেষ পাতে মিষ্টির অভ্যাস রাখেন। চকলেট, আইশক্রিম সহ নানান রকমারি মিষ্টি অনেকের কাছেই লোভনীয়। রাতে ঝাল খাওয়ার পর মিষ্টি খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে এটা অভ্যাসে পরিণত হলেই শরীরের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। এই অভ্যাস থাকলে গুরুতর সাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে কেননা,মিষ্টিতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে আর চিনিতে থাকে শকরা যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
উপরিউক্ত অভ্যাসে মানবদেহে কিকি ক্ষতি হয়, জেনে নিন-
১) বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমরা যখন মিষ্টি খাই, তখন রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর তা কমে যায়। রাতে এই উত্থান-পতনের কারণে ঘুম অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এর প্রভাবে পরের দিন সকালে খুব ক্লান্ত বোধ হতে পারে। এছাড়া রাতে খাবারের পর মিষ্টি খেলে, শরীর নিজেকে মেরামত ও সুস্থ করার পরিবর্তে গ্লুকোজকে শক্তিতে রূপান্তর করতে ব্যস্ত থাকে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে, গভীর রাতে মিষ্টি খেলে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা হ্রাস করে, যা বিপাককে প্রভাবিত করে। এছাড়াও রাতে প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি খেলে ওজন দ্রুত বাড়ে।
২) রাতে মিষ্টি খেলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। চিনি মেলাটোনিনকে নিয়ন্ত্রণ করে, যা ঘুম নিয়ন্ত্রণ করে এবং কর্টিসল (একটি স্ট্রেস-প্ররোচিত হরমোন) বাড়ায়। এর প্রভাবে আমাদের ঘুম কম হয় বা ঘুম আসতে দেরি হয়।
৩) ডায়াবেটিস রোগীরা যদি প্রতিদিন রাতের খাবারের পর মিষ্টি খান তাহলে তাদের স্বাস্থ্য সমস্যা বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতে অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে যায়। যার কারণে অনেক ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন নিউরোপ্যাথি, রেটিনোপ্যাথি এবং কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা বাড়তে পারে।
কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন এই অভ্যাস?
মিষ্টির পরিবর্তে সবুজ শাক,ড্রাই ফ্রুটস ও গোটা শস্য গ্ৰহণ করুন। এছাড়া মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছে হলে, কোনও মিষ্টি ফল, এক টুকরো ডার্ক চকলেট বা মধুর সঙ্গে দই খেতে পারেন। আপনি চাইলে দারুচিনি বা ক্যামোমাইলের মতো ভেষজ চা পান করতে পারেন। এছাড়াও মনে রাখবেন শরীরে যেন জলের ঘাটতি না হয়, মাঝে মাঝে পিপাসা পেলেও মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছে করে।