কলকাতা, ২৭ সেপ্টেম্বর : পুজোর আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি। তারপরেই পুজো। আর অনেকেই আছেন যাঁরা পুজোর ছুটিতে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ঘুরতে। কিন্তু পাহাড়ে যায়ার ট্রেনের টিকিটের আকাল। অনেক খুঁজেও টিকিট মিলছে না টিকিট। ফলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও যেতে পারছেন না অনেকে।
বাজেট ও ছুটির সময়সীমা অনুয়ায়ী তৈরি হয় পরিকল্পনা। যাঁরা মোটামুটি ৩-৪ দিন পুজোর ছুটি পান, তাঁদের অনেকেই পুজোর ছুটির গন্তব্য হিসেবে নেন উত্তরবঙ্গের পাহাড়, অর্থাৎ দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পংয়ের মতো জায়গাগুলিকে। শহুরে ভিড় থেকে দূরে, পাহাড়ের কোলে কয়েকদিন কাটিয়ে আসেন তাঁরা।
কিন্তু পরিকল্পনা করলেই তো আর সবসময় তা সাকসেস হয় না। তথ্য বলছে, ইতিমধ্যেই 'হাউজফুল' দার্জিলিং ও সংলগ্ন এলাকার হোটেল ও হোম স্টেগুলি। ফলে অনেক অনুনয়-বিনয় করেও একটা ঘর 'ম্যানেজ' করতে পারছেন না পর্যটকরা। আবার
এই পরিস্থিতিতে মুশকিল আসানে এগিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার। উত্তরবঙ্গমুখী বিপুল পর্যটকদের চাপ সামলাতে শিলিগুড়ি-কলকাতা রুটে নামানো হচ্ছে এসি রকেট বাস। বাসের ভাড়া ১,২৪৫ টাকা। সময় লাগবে ১১ ঘণ্টা। এছাড়া কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা রুটে চলবে আরও পাঁচটি স্পেশাল সুপার নন-এসি বাস। সেই বাসের ভাড়া ৪৫০ টাকা।
পুজোয় পর্যটকদের কথা ভেবে এই উদ্যোগ নিয়েছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের। মঙ্গলবারই ডিপোয় পৌঁছে গিয়েছে এসি-রকেট বাস। যাত্রী পেলেই সেগুলির চাকা গড়াবে বলে জানাচ্ছে নিগম। এক্ষেত্রে কলকাতা ও শিলিগুড়ি ডিপো থেকে একটি করে এসি রকেট বাস চালানো হবে। রিজার্ভ রাখা হচ্ছে আরও একটি। চাহিদা বুঝে সেটিকেও নামানো হবে রাস্তায়।
বুধবার নিগমসূত্রে জানা যায়, মাঝপথে কৃষ্ণনগর, বহরমপুর, ফরাক্কা, মালদা, রায়গঞ্জ ও ইসলামপুরে হল্ট দেবে এই বাস। এছাড়া শিলিগুড়ি ও কোচবিহার থেকে কলকাতা পর্যন্ত এখন একটি করে রকেট বাস চলে, সেটিও বহাল থাকবে।