
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্য রাজনীতিতে শুক্রবার সকালে আচমকাই বড় চমকের খবর প্রকাশ্যে আসে। টলিপাড়ার অন্দরমহল থেকে ছড়িয়ে পড়ে গুঞ্জন—গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এক অভিনেত্রী এবার শাসকদলে যোগ দিতে চলেছেন। বেলা গড়াতেই সেই জল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে তৃণমূল ভবনের পথে রওনা দেন পার্ণো মিত্র। খবর, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের হাত ধরেই তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন তিনি।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বরানগর কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী তাপস রায়ের বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে লড়েছিলেন পার্ণো। যদিও ভোটের ফল তাঁর পক্ষে আসেনি। এবার বিধানসভা নির্বাচনের মুখে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান বদল ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা, বিশেষ করে টলিউড ও রাজনৈতিক মহলে। ইন্ডাস্ট্রির একাংশ পার্ণোর এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক বলেই দেখছে। আলোচনায় উঠে আসছে, বাংলার রাজনৈতিক বাস্তবতা ও জনমানস বুঝতে বিরোধী শিবির এখনও যে স্পষ্ট দিশা খুঁজে পায়নি, সেই অনিশ্চয়তার মধ্যেই পার্ণোর এই দলবদল তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে ছোটপর্দার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘খেলা’-র মাধ্যমে অভিনয়জীবন শুরু করেন পার্ণো মিত্র। বড়পর্দায় তাঁর অভিষেক অঞ্জন দত্তের হাত ধরে। ‘রঞ্জনা আমি আর আসব না’ ছবিতে তাঁর অভিনয় দর্শকদের নজর কেড়েছিল। পরবর্তী সময়ে ‘বেডরুম’, ‘মাছ মিষ্টি অ্যান্ড মোর’, ‘রাজকাহিনী’, ‘অপুর পাঁচালি’, ‘অঙ্ক কী কঠিন’-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। ২০১৯ সালে বিজেপিতে যোগ দেন পার্ণো। ২০২১ সালে বরানগর কেন্দ্র থেকে তাঁকে প্রার্থী করা হয়। সেই নির্বাচনে বিজেপি একাধিক তারকাকে প্রার্থী করলেও ফলাফল শাসকদলের পক্ষেই যায়।
উল্লেখযোগ্যভাবে, নির্বাচনের আগেই শাসকদলের বিধায়ক মদন মিত্রের সঙ্গে দোলযাত্রার অনুষ্ঠানে পার্ণোর উপস্থিতি ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই ছবি তখন রাজনীতি ও টলিপাড়ায় আলোচনার কেন্দ্রে ছিল। এবার সেই সব জল্পনার পরিসমাপ্তি টানতে চলেছে তাঁর তৃণমূলে যোগদান, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
