
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক:যাত্রীর ওপর চড়াও হওয়ার দায়ে শাস্তির মুখে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের পাইলট বীরেন্দ্র সেজওয়াল। গত ১৯ ডিসেম্বর দিল্লি বিমানবন্দরের টার্মিনাল ১-এ এক যাত্রীর সঙ্গে তাঁর হাতাহাতি হয় এবং অভিযোগ অনুযায়ী, পাইলটের মারে ওই যাত্রীর নাক ফেটে যায়। এই ঘটনার পর ক্ষুব্ধ যাত্রী কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ জানান। প্রাথমিক তদন্তের পর সংস্থার পক্ষ থেকে পাইলটকে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। বিমানবন্দরের মতো সুরক্ষিত এলাকায় একজন বিমানচালকের এমন উগ্র আচরণে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর দিল্লি বিমানবন্দরের ১ নম্বর টার্মিনালে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের পাইলট ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র সেজওয়াল তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ জানান স্পাইসজেট উড়ানের যাত্রী অঙ্কিত দেওয়ান। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় সেই ভিডিয়োও। অঙ্কিত অভিযোগ জানালে পদক্ষেপ করে ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র সেজওয়ালের সংস্থা। ইতিমধ্যেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বহিরাগত তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিমান সংস্থা। সেজওয়ালের বিরুদ্ধে শ্রম আইনের অধীনে শো-কজ় নোটিস জারি হয়েছে। যদিও সেই সময়ে ডিউটিতে ছিলেন না ওই পাইলট। ব্যক্তিগত কাজে যাত্রী হিসেবেই বিমানে উঠছিলেন বীরেন্দ্র সেজওয়াল।
অঙ্কিত দেওয়ান অভিযোগ করেন, পরিবারের লোকজনকে নিয়ে সিকিউরিটি চেকিংয়ের লাইনে দাঁড়ানোর সময়ে ওই পাইলটের সঙ্গে তাঁদের বচসা হয়। এর জেরে মেরে তাঁর নাক ফাটিয়ে দেন পাইলট বীরেন্দ্র সেজওয়াল বলে অভিযোগ অঙ্কিতের। এখানেই শেষ নয়। ওই যাত্রীর দাবি, ওই ঘটনার সময়ে তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছয় বছরের কন্যা। ওই ঘটনা তাঁর মেয়েকে মানসিক ভাবে আঘাত করেছে।
তবে সেজওয়ালের পাল্টা দাবি, বিনা প্ররোচনায় তাঁকে গালিগালাজ করছিলেন অঙ্কিত। CISF কর্মীরা তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করলেও তিনি থামেননি। পাইলটের পাল্টাযোগ, অঙ্কিতই প্রথমে তাঁকে ‘জাত তুলে’ গালিগালাজ করেন এবং তাঁর পরিবারের মহিলা ও শিশুদের হুমকি দেন।
এর আগে এই ঘটনার অভিযোগ আসতেই এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ক্যাপ্টেন সেজওয়ালকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়। একইসঙ্গে বিবৃতি জারি করে জানায়, ঘটনার সময়ে বীরেন্দ্র পাইলট হিসেবে কর্তব্যরত ছিলেন না। তাই এই ঘটনা কোনও পাইলট ও যাত্রীর মধ্যে ঘটেনি, দুই যাত্রীর মধ্যে ঘটেছে। ঘটনাটিকে ভুল ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
