
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: কথা ছিল, বড়দিনেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ধর্মেন্দ্রর শেষ সিনেমা ‘ইক্কিস’। অনুরাগীদের কাছে এই ছবির গুরুত্ব ছিল আলাদা—শেষবারের মতো বড়পর্দায় ‘হি-ম্যান’-এর উপস্থিতি দেখার অপেক্ষায় ছিলেন অসংখ্য দর্শক। তবে মুক্তির ঠিক এক সপ্তাহ আগে সেই পরিকল্পনায় বদল আসে। নির্মাতারা জানান, বড়দিনের বদলে নতুন বছরের প্রথম দিনেই মুক্তি পাবে ছবিটি। এহেন সিদ্ধান্ত ঘিরে নানা জল্পনা শুরু হলেও অমিতাভ বচ্চন স্পষ্ট করে দেন, ‘ধুরন্ধর’-এর ভয়ে নয়, জ্যোতিষের পরামর্শেই শুভ তিথিনক্ষত্র দেখে পয়লা জানুয়ারি মুক্তির দিন ধার্য হয়েছে। এবার বাবার শেষ সিনেমার প্রচারের হাল ধরলেন সানি দেওল, ববি দেওল।
বলিউড সূত্রের খবর, ‘ইক্কিস’ মুক্তির আগে বাবাকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে একটি বিশেষ স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন করছেন দুই ভাই। ২৯ ডিসেম্বর, অর্থাৎ মুক্তির দু’দিন আগে, মুম্বইয়ের আন্ধেরির পিভিআর আইকনে এই বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। খানে বচ্চন পরিবারসহ দেওল পরিবারের সদস্যদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই অনুষ্ঠানে গণমাধ্যম ও ছবিশিকারীদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই ছবির মাধ্যমেই বড়পর্দায় প্রথমবার মুখ্য চরিত্রে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন অগস্ত্য নন্দা। পরমবীরচক্রে সম্মানিত শহিদ অরুণ ক্ষেত্রপালের ভূমিকায় তাঁকে দেখা যাবে। শ্রীরাম রাঘবন পরিচালিত এই ছবিতে, ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে, অরুণ ক্ষেত্রপালের বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ধর্মেন্দ্র। সেই সূত্রেই বচ্চন আর দেওলরা একত্রিত হবেন ‘ইক্কিস’-এর স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে।

গত ২৪শে নভেম্বর ধর্মেন্দ্রর প্রয়াণের পর থেকেই ‘ইক্কিস’ ঘিরে আবেগ তুঙ্গে। শুটিংয়ের শেষ দিনে ভারত-পাকিস্তানের দর্শকদের একসঙ্গে সিনেমাটি দেখার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, “আমার মনে হয়, ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশের দর্শকমহলেরই ‘ইক্কিস’ দেখা উচিত। আজ যেহেতু শুটিংয়ের শেষ দিন তাই আনন্দের পাশাপাশি আমার খুব দুঃখও হচ্ছে। তোমাদের সকলের জন্য অনেক ভালোবাসা রইল। আর আমি যদি কিছু ভুল বলে থাকি তাহলে দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিও।” সেই আবেগ, স্মৃতি আর সম্মানের ভার নিয়েই এবার বাবার শেষ রুপোলি যাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন সানি ও ববি দেওল।
