
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: কন্যা মীরার জন্মের পর কিছুদিন কাজ থেকে বিরতি নিয়েছিলেন অভিনেত্রী অহনা দত্ত। এখন ধীরে ধীরে আবারও ফিরছেন নিয়মিত কর্মজীবনের ছন্দে। প্রতিদিনই জিমে গিয়ে পরিশ্রম করছেন অভিনেত্রী। আর ঠিক সেই যাতায়াতের পথেই ঘটল বিপত্তি। একটি ভিডিয়োয় প্রকাশ্যে আনলেন নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সেই অভিজ্ঞতার কথা।
জিম থেকে ফেরার পথেই একটি ভিডিয়ো তৈরি করেন অহনা। বেশ কিছুদিন ধরে একই ঘটনার সম্মুখীন হওয়ার পরে অবশেষে প্রকাশ্যে আনলেন বিষয়টা। অহনা বললেন, ‘আমি আজ জ়িমে এসেছি। গোটা শরীরটাই ঢাকা। জানি না এর মধ্যে কোনও অসভ্য ড্রেসের ইঙ্গিত আছে কি না। বাড়ি থেকে পাঁচ মিনিটের দূরত্ব, তাই আমি টোটো করে আসি। আমরা যখন গাড়িতে যাতায়াত করি তখন আমরা কী পরে আছি, কী ভাবে পরে আছি, কাচ তুলে দিলে আমরা খুব একটা বুঝতেও পারি না।’ টোটোতে উঠে প্রতিদিনই এই অদ্ভুত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানান তিনি। যখনই সেখানে পা রেখেছেন, দেখেছেন চারপাশের মানুষগুলো কী ভাবে হা করে তাকিয়ে থেকেছেন। অহনা বলেন, ‘একেবারে খোলামেলা হওয়ায় পুরোপুরি দেখা যায়। ভীষণ অদ্ভুত ভাবে প্রত্যেকটা লোক হা করে তাকিয়ে থাকেন। জানি না ওরা কী দেখছে, কী ভাবছে। যতটা রাস্তা এলাম হা করে টোটোর মধ্যে তাকিয়ে রইল। এটা কি আজকাল আমরা একটু বেশিই ফেস করছি? সত্যিই জানি না। আমি বুঝতে পারছি না। এই অনুভূতিটা সত্যিই কাউকে বোঝাতে পারছি না।’
এ ধরনের পরিস্থিতিতে তিনি মনে করছেন, আপাতত কেবল গাড়ির ভেতর কিংবা কর্মক্ষেত্রেই কিছুটা নিরাপদ। বাকি রাস্তাঘাট বা পাবলিক ট্রান্সপোর্টে কেন এমন হচ্ছে—তার কোনও উত্তর তাঁর কাছে নেই। সকলের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী— ‘যদি তোমাদেরও এমনটাই হয় সেটাও বলো। আর কী ভাবে এই সিচুয়েশন থেকে বেরিয়ে আসা যায়, সেটাও জানিও। যেখানেই যাই চেষ্টা করি হয় ক্যাবে যেতে, না হয় গাড়িতে। তবে সবসময় তো সেটা সম্ভব হয় না। মাঝেমধ্যে পাবলিক ট্রান্সপোর্টেও যেতে হয়। রাস্তাঘাটে এমন হা করে তাকিয়ে থাকার কারণ আমি সত্যিই বুঝতে পারি না। এই পৃথিবীটা মেয়েদের জন্য একটু সুরক্ষিত করে তুলুন প্লিজ়।’
