
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক:এই বছরের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এই সময়কালের মধ্যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে একাধিকবার একটি আকর্ষণীয় ঘড়ি দেখা গিয়েছে। এই ঘড়িটি তৎক্ষণাৎ মানুষের মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে এবং বিশেষ কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। বর্তমানে, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত এই হাতঘড়িটিই সর্বত্র আলোচনার মূল বিষয়। প্রশ্ন হলো, কেন? ঠিক কী কারণে মোদির এই হাতঘড়িটি এভাবে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে?কারণ ঐতিহ্য। উদ্ভাবন-দক্ষতা। এবং অতি অবশ্যই দেশের গরিমা। এই সব কিছুই ফুটে উঠেছে প্রধানমন্ত্রীর বিলাসবহুল হাতঘড়িটিতে। জয়পুর ওয়াচ কোম্পানির তৈরি এই সুদৃশ্য ঘড়িটির নাম ‘রোমান বাঘ’। এর আরও একটি বিশেষত্ত্ব রয়েছে। এর মধ্যে খোদাই করা রয়েছে ১৯৪৭ সালের একটি মুদ্রা, যেখানে আবার জ্বলজ্বল করছে হেঁটে যাওয়া বাঘের নকশা। পরাধীনতার শিকল ভেঙে ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের বছরটিকে এইভাবেই সম্মান জানানো হয়েছে ঘড়িটির সূক্ষ্ম কারুকার্যে।
আবার একইভাবে এই নকশার মিল রয়েছে মোদির ঘোষিত ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সঙ্গেও। ঘড়িটির ৪৩ মিমি কেসটি তৈরি হয়েছে ৩১৬ এল স্টেনলেস স্টিল দিয়ে। অন্দরে প্রযুক্তি জাপানি মিয়োটা অটোমেটিক মুভমেন্টের। স্বচ্ছ ‘কেস’ দিয়ে ভিতরে উঁকি মারলে দেখা মিলবে অভিনব সুন্দর অন্দরসজ্জার। ঘড়ির সামনে-পিছনে সাজানো রয়েছে ছোট ছোট নীলকান্তমণি। ঘড়িটি ‘ওয়াটার-প্রুফ’, ফলে দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য আদর্শ। এই ধরনের ‘রোমান বাঘ’ ঘড়ির মূল্য ঘোরাফেরা করে ৫৫,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকার মধে্য। প্রসঙ্গত, জয়পুর ওয়াচ কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা গৌরব মেহতা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দেশে তৈরি সুদৃশ্য, বিলাসবহুল ঘড়ি পরে মোদি ফের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র হয়েই প্রচার করলেন।
