
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: বদ্ধমূল ধারণার গণ্ডি পেরিয়ে আজ আর ঘরের চার দেওয়ালে থেমে নেই নারীরা। খেলাধুলোর মাঠ থেকে যুদ্ধক্ষেত্র—প্রতিটি জায়গাতেই সমান দাপট দেখাচ্ছেন তাঁরা। সেই সময়েও কন্যাসন্তানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেছেন তারকা সাংসদ কঙ্গনা রানাউত। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে নানা মহলে তীব্র সমালোচনা।
ঠিক কী বলেন কঙ্গনা? তাঁর দাবি, “এশিয়ার প্রতিটি পরিবারের সঙ্গে আপনারা কথা বলে দেখতে পারেন। বিশেষ করে, দ্বিতীয়বার কন্যাসন্তান হলে আরও বিষয়টি বোঝা যায়। হতেই পারে, কোনও পরিবার খুবই উচ্চশিক্ষিত। তাঁরা দেখাতে চান, তাঁদের চোখে ছেলে ও মেয়ে দুইই সমান। কিন্তু আমি বলছি, মেয়ে হওয়ার পরে সকলের মধ্যে এই বিষয়টা নিয়ে চিন্তা হয়। এমনকি অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং বড় পরিবারেও একই ছবি দেখা যায়।” সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমন একথা বলেন তিনি। সমাজের যেকোনও স্তরের মানুষের মধ্যে কন্যাসন্তান নিয়ে ধারণা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে বেফাঁস কথা বলেন সাংসদ। কঙ্গনার এই মন্তব্য মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তোলে। নেটিজেনদের বড় অংশই তীব্র আক্রমণ শানান তাঁর দিকে। বহুজনের প্রশ্ন—একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী এবং সাংসদ হয়ে কীভাবে এমন মন্তব্য করতে পারেন তিনি? আবার অনেকে মন্তব্য করেন, কঙ্গনার কথাই প্রমাণ করে তিনি মানসিকতায় মোটেও প্রগতিশীল নন।
তবে এ প্রথম নয়। এর আগেও বহুবার বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে এসেছেন কঙ্গনা। কৃষক আন্দোলন নিয়ে X-এ আক্রমণাত্মক পোস্ট করার পর তাঁকে ক্ষমাও চাইতে হয়েছিল। আন্দোলনে উপস্থিত এক বৃদ্ধাকে তিনি ‘শাহিনবাগের দাদি’ বিলকিস বানো বলে দাবি করেছিলেন। পাঁচ বছর পর সেই ঘটনায় ভাতিন্দা আদালতে গিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি। আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কঙ্গনা বলেন, “ভাতিন্দায় এসে ভালো লাগছে। এখানে আমার ভক্তরা জড়ো হয়েছেন। কৃষক আন্দোলনের সময় একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আমি মাতাজির স্বামীকে বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছি।” তিনি আরও জানান, “পোস্টটি আসলে একটি রিটুইট ছিল, যেটি সাধারণ মিম হিসেবেই ব্যবহৃত হয়েছিল। মাহিন্দরজির সঙ্গে এ বিষয়ে আমার কথা হয়েছে। তখন দেশজুড়ে একাধিক বিক্ষোভ চলছিল। কেউ একজন সেই মিমে কমেন্ট করেছিলেন—সেখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। এই ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করেছি।”
কিন্তু তাতেও যেন শিক্ষা হল না মান্ডির বিজেপি সাংসদের। বরং একের পর এক বেফাঁস মন্তব্যে নিজেই আবার নতুন বিতর্কের কেন্দ্রে চলে আসছেন।
