
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ছোট ছোট ফ্ল্যাটে বসবাস করে ছোট ছোট পরিবার। সেই পরিবারের খুদেদের উপর পড়াশোনার চাপ তো আছেই, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে খেলার সঙ্গীর অভাব। ফলে দিন দিন বেড়ে চলেছে মোবাইলের প্রতি আকর্ষণ। এই আকর্ষণই ধীরে ধীরে নেশায় পরিণত হচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে, অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারে হতে পারে নানান শারীরিক ও মানসিক সমস্যা। শুধু চোখের ক্ষতি নয়, এতে স্মৃতিশক্তিও কমে যেতে পারে। কীভাবে মোবাইল ব্যবহারে স্মৃতিশক্তিতে প্রভাব পড়ে, আসুন জেনে নেওয়া যাক।
* বিশেষজ্ঞদের মতে, মোবাইলের নীল আলোর বিচ্যুরণ শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। তার ফলে শরীরে মেলাটোনিন উৎপাদন বেড়ে যায়। অনিদ্রা বাড়ে। মানসিক অবসাদের জন্ম হয়। দীর্ঘদিন এই পরিস্থিতি চললে খুদের স্মৃতিশক্তি হ্রাস পেতে পারে।
* অতিরিক্ত টেকস্যাভি হওয়ার ফলে স্মৃতিশক্তির ধার কমতেও বাধ্য। কারণ, সবসময় হাতের কাছে সার্চ ইঞ্জিন গুগল থাকার ফলে আমরা কোনও তথ্য মনে রাখতে ভুলে যাই। দীর্ঘদিনের এই অভ্যাসের ফলে একসময় স্মৃতিশক্তি তলানিতে ঠেকতে বাধ্য।
* তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খুদের মোবাইলের প্রতি আসক্তি দূর করা প্রয়োজন। নইলে বিপদে পড়তে পারে সে। আর নিজের সন্তানের ক্ষতি কে-ই বা চান!
অভিভাবকদের করণীয়:
* সারাক্ষণ খুদে মোবাইল হাতে নিয়ে বসে থাকতে দেবেন না। নিজেও সারাক্ষণ মোবাইল হাতে নিয়ে বাড়িতে থাকবেন না।
* মাঝেমধ্যে মোবাইল দিতে পারেন। তার একটা নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করুন।
* শোওয়ার ঘরে ভুলেও মোবাইল নিয়ে ঢুকতে দেবেন না।
* শিশু মোবাইলে কী দেখছে, সেদিকে সবসময় খেয়াল রাখুন। এমন কিছু দেখতে দেবেন না যাতে তার শিশুমন প্রভাবিত হয়।
* মোবাইল না দেখে, গান শোনার অভ্যাস তৈরি করাতে পারেন। তাতে তার মন ভালো হবে।
* মোবাইল গেমসের প্রতি আসক্তি তৈরি হতে দেবেন না। প্রয়োজনে অন্য খেলনা কিনে দিন। বই পড়ার অভ্যাস তৈরির চেষ্টা করুন। খুদের সঙ্গে গল্পগুজব করুন।
* প্রয়োজনে খুদেকে নিজের সঙ্গে বাড়ির কাজে ব্যস্ত রাখতে পারেন। তাতে তার মোবাইল আসক্তি হবে না। একঘেয়েমি কাটবে। আবার ধীরে ধীরে স্বনির্ভর হয়ে উঠবে।
