
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: শীত এলেই বাঙালি বাড়িতে পিঠে–পুলি, মালপোয়া যেন অনিবার্য। নতুন গুড়ের পায়েস বা সন্দেশের ঘ্রাণ পেলেই জিভে জল আসে। গুড়ের রসগোল্লা থেকে শুরু করে নানান রকম মিষ্টির বাহার থাকে এই সময়টায়। মিষ্টিপ্রেমীদের পক্ষে এই লোভ সামলানো সত্যিই কঠিন। শীতে অনেকের শরীরে জলশূন্যতা বেড়ে যায়, কম জল খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও অম্বলের সমস্যাও দেখা দেয়। তার উপর বেশি মিষ্টি খেয়ে ফেললে ক্ষতি আরও বাড়ে—ওজন ও রক্তশর্করা দুইই বেড়ে যেতে পারে। তাই চিনি দেওয়া মিষ্টি থেকে দূরে থাকাই ভালো। তবে মন যদি খুবই মিষ্টি চাইতে থাকে, তা হলে কিছু স্বাস্থ্যকর উপায়ে মিঠাই বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে। রইল তেমনই কয়েকটি স্বাস্থ্যকর মিষ্টির রেসিপি।
১। নারকেলের হালুয়া: কড়াইতে এক চামচ ঘি গরম করে তাতে কাজুবাদাম সোনালি করে ভেজে নিন। ওই কড়াইতে দু’কাপের মতো নারকেল কোরা ও নারকেলের দুধ দিয়ে কম আঁচে নাড়তে থাকুন। নারকেল কিছুটা শুকিয়ে এলে তাতে গুড় বা খেজুর বাটা এবং সামান্য ঘি দিন। মিশ্রণটি ঘন ও আঠালো হওয়া অবধি নাড়তে হবে। আঁচ কমিয়ে রাখবেন যাতে পুড়ে না যায়। নামানোর আগে এলাচ ও দারচিনির গুঁড়ো ও কাজুবাদাম ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
২। ওট্সের ক্ষীর: ওট্স শুকনো খোলায় মিনিট পাঁচেক ভেজে নিন। এর সঙ্গে দুধ মিশিয়ে দু’টি ছোট এলাচ থেঁতো করে দিন। দুধ ও ওট্স ঘন করে জ্বাল দিয়ে তাতে খেজুর, কাঠবাদাম কুচি, কিশমিশ মিশিয়ে দিন। মিশ্রণটি ঘন হলে উপরে ছোট ছোট করে কাটা কলা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
৩। বেসন নারকেলের বরফি: প্যানে এক চামচ ঘি গরম করে তাতে এক কাপের মতো বেসন মেশান। বেসন সোনালি হওয়া অবধি ভাজুন। এ বার তাতে আধ কাপের মতো নারকেল কোরা, গুড় ও দুধ মেশান। মিশ্রণটি ভাল ভাবে নাড়তে থাকুন। ঘন হয়ে আসা অবধি কম আঁচে নাড়তে হবে। এ বার একটি ঘি মাখানো থালায় মিশ্রণটি ঢেলে দিয়ে সমানভাবে ছড়িয়ে দিন। উপরে কাজু ও পেস্তা ছড়িয়ে দিন। তার পর ঠান্ডা হলে বরফির মতো আকারে কেটে নিন।
৪। কঠবাদাম-গুড়ের লাড্ডু: কাঠবাদাম শুকনো খোলায় ভেজে নিয়ে ঠান্ডা করে গুঁড়িয়ে নিন। একটি পাত্রে এক চামচ ঘি গরম করে তাতে গুড় ঢেলে দিন। গুড় গলে গেলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। একটি বড় বাটিতে বাদাম গুঁড়ো, গলানো গুড়, এলাচ গুঁড়ো ও চাইলে ড্রাই ফ্রুটস মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি হালকা গরম থাকা অবস্থায়, হাতে একটু ঘি নিয়ে ছোট ছোট লাড্ডুর মতো গড়ে নিন।
