
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পূর্বেই দাবি করেছিলেন যে, অপারেশন সিঁদুর ও মহাদেব কার্যক্রমে সাফল্যের ফলস্বরূপ, বিগত ছয় মাসে কোনো কাশ্মীরি তরুণ জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেয়নি। তাঁর এই মন্তব্য উল্লেখ করে আসাদউদ্দিন ওয়েইসি এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ওয়েইসির প্রশ্ন হলো, ‘হঠাৎ করে এই গোষ্ঠীটি কীভাবে সৃষ্টি হলো? তাদের চিহ্নিত করতে না পারার জন্য কে দায়ী?’
এক্স হ্যান্ডলে তোপ দাগার পাশাপাশি এদিন AIMIM সভাপতি লালকেল্লা বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত চিকিৎসক উমর মহম্মদ ওরফে উমর-উন-নবির যে ভিডিওটি প্রকাশ্যে এসেছে, সেটা নিয়েও মুখ খুলেছেন। তাঁকে লিখতে দেখা গিয়েছে, ‘দিল্লি বিস্ফোরণের অভিযুক্ত উমর নবির এক তারিখহীন ভিডিওতে আত্মঘাতী বোমা হামলাকে ‘শহিদ’ হিসেবে ন্যায্যতা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে এর ভিতরে রয়েছে বিভ্রান্তি। ইসলামে আত্মহত্যা হারাম এবং নিরপরাধদের হত্যা করা একটি গুরুতর পাপ। এই ধরনের কাজ দেশের আইনের বিরুদ্ধেও। এগুলি কোনওভাবেই ‘ভুল বোঝাবুঝি’ নয়। এটা সন্ত্রাসবাদ। অন্য কিচ্ছু নয়।’
এদিকে দিল্লি বিস্ফোরণের পরই নজরে এসেছিল আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরের জেহাদি কার্যকলাপ। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক লেনদেনেও বিস্তর গরমিলের হদিশ মিলেছে। বিতর্কিত ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকিকে মঙ্গলবার রাতেই গ্রেপ্তার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বুধবার তাঁকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পাঠাল দিল্লির সাকেত আদালত। বিচারপতি শীতল চৌধুরী প্রধান বলেন, ”অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং তদন্ত যেহেতু প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, তাই আমি মনে করি অভিযুক্তকে ১৩ দিনের জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট হেফাজতে নেওয়া উচিত।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালেই সংস্থার দিল্লির অফিসে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। একই সঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ২৫টি জায়গাতেও একযোগে তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। আল ফালাহ-র প্রতিষ্ঠাতা জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর বহু প্রশ্নের উত্তর না পাওয়ায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
