দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে বড় সাফল্য পেল পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। ছত্তিশগড়ের বাস্তার এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদিন ৩০ জন মাওবাদীকে খতম করা হয়। সাম্প্রতিককালে মাওবাদী দমন অভিযানে এটা সবচেয়ে বড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে।নিহত মাওবাদিদের কাছ থেকে AK 47 এবং SLR-এর মতো কয়েক ডজন অত্যাধুনিক অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। মাওবাদীদের মৃতদেহ এবং উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলি গভীর রাতের মধ্যে জেলা সদর দন্তেওয়াড়ায় আনা হবে। নিহত মাওবাদীদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি
বস্তার আইজি সুন্দররাজ পি এনকাউন্টারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং বলেছেন যে ৩০ জন মাওবাদীদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও আরও মাওবাদী নিহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নারায়ণপুরের পুলিশ সুপার প্রভাত কুমার জানান, দান্তেওয়াড়া ও নারায়ণপুর সীমান্তের নেন্দুর-থুলাথুলি জঙ্গলে বড় মাওবাদী নেতাদের জমায়েত হওয়ার খবর পুলিশ পেয়েছিল। তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণপুর থানার সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা গেছে, গভীর রাতে দান্তেওয়াড়া এবং নারায়ণপুর থেকে ডিআরজি দলগুলি ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়। সারা রাত অভিযান চলার পর শুক্রবার সকালে যখন সেনারা থুলথুলি গ্রামের কাছে জঙ্গলে তল্লাশি চালাচ্ছিল, সেখানে আগে থেকে উপস্থিত মাওবাদীরা সেনাদের ওপর গুলি চালাতে শুরু করে। দুপুর ১টার দিকে প্রথম সংঘর্ষ হয়। মাওবাদীদের গুলি দেখে জওয়ানরা সতর্ক হয়ে পাল্টা জবাব দেয়। দুপুর ১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় গোলাগুলি হয়।
সেনারা ঘটনাস্থলে তদন্ত করলে সাত মাওবাদীদের মৃতদেহ পাওয়া যায়। এর সাথে একটি এসএলআর, একটি AK-47 এবং আরও কিছু অস্ত্রও পাওয়া গেছে। প্রথম এনকাউন্টারের কিছুক্ষণ পরে, মাওবাদীরা আবার দান্তেওয়াড়া এবং নারায়ণপুরের দিকে অভিযান চালায়। এবারও ডিআরজি দল আবার সাত মাওবাদী কে খতম করল। সেনারা এখান থেকে AK-47-এর মতো আধুনিক অস্ত্রও উদ্ধার করে। এর পর নিহত মাওবাদীদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০।