দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ২২, ২৩ ও ২৪ মে—টানা ৭২ ঘণ্টা ধরে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী শহরতলিতে বন্ধ থাকবে সমস্ত বেসরকারি বাস পরিষেবা। একাধিক দাবি ও অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পাঁচটি বৃহৎ বেসরকারি বাস সংগঠন। ইতিমধ্যেই ধর্মঘট প্রত্যাহার নিয়ে পরিবহণ দফতরের সঙ্গে বৈঠক হলেও কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। ফলে ধর্মঘটের পথে এগোচ্ছে সংগঠনগুলি। এই ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী সংগঠনগুলি হল,জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেট (পশ্চিমবঙ্গ), বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট, ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি, ইন্টার অ্যান্ড ইন্ট্রা রিজিয়ন বাস অ্যাসোসিয়েশন।
উপরিউক্ত সংগঠনগুলির দাবি, রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের একাধিক সিদ্ধান্তে বাস পরিষেবা সচল রাখা সম্ভব হচ্ছেনা। বিশেষ করে ১৫ বছরের বেশি পুরনো বাস বাতিলের সিদ্ধান্ত, ডিজেলের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশি হয়রানি ও অযৌক্তিক টোল আদায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা এই আন্দোলনে নামছেন। তাঁদের দাবিসমূহের মধ্যে থাকছে, ১৫ বছরের বেশি পুরনো বাস বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার;ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ক্ষতিপূরণ;ভাড়া বৃদ্ধি;পুলিশি হয়রানি ও অযৌক্তিক মামলা বন্ধ এবং অযৌক্তিক টোল ট্যাক্স বন্ধ।
পরিবহণ সচিবের সঙ্গে সংগঠনের বৈঠক হলেও কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়নি। সংগঠনের বক্তব্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। সেই অনুপাতে বাসের ভাড়া অনেক কম। ২০১৮–র পরে রাজ্যে বাসের ভাড়া আর বাড়েনি। তবে রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত এই ধর্মঘট রোধে অতিরিক্ত সরকারি বাস পরিষেবা চালানোর পরিকল্পনা করছে বলে সূত্রের খবর। এই ধর্মঘটের ফলে শহর কলকাতা এবং শহরতলির লক্ষাধিক যাত্রী ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। প্রতিদিনের যাতায়াত, অফিস যাত্রা, স্কুল-কলেজে পৌঁছনো এবং জরুরি প্রয়োজনে চলাচল—সব ক্ষেত্রেই প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।