দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- ত্রিপুরা সরকারের দুর্বলতা, ত্রুটি এবং আগ্রহের অভাবের কারণে ডিএ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী ও রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এমনটাই অভিযোগ করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিআইএম পলিটব্যুরোর সদস্য মানিক সরকার। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে টাকা এনে রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের ডিএ মিটিয়ে দেওয়া উচিত।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের জন্য ৩ শতাংশ ডিএ মঞ্জুর করেছে। এর ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী এবং রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের মধ্যে ডিএ'র পার্থক্য বেড়ে দাঁড়ায় ২৮ শতাংশ । এর কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্য সরকার কর্মচারীদের জন্য পাঁচ শতাংশ ডিএ ঘোষণা দেয়। ফলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের মধ্যে ডিএ'র পার্থক্য কমে দাঁড়িয়েছে ২৩ শতাংশে। কিন্তু খুশি নন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিআইএম পলিটব্যুরোর সদস্য মানিক সরকার ।
ডিএ প্রসঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার জানান, পূর্বতন সরকারের আমলে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের জন্য পুরো ডিএ প্রদান করতে না পারলেও বছরের দু'বার করে ডিএ প্রদান করা হত। এর লক্ষ্য ছিল রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ডিএ প্রাপ্তি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সমপর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু বর্তমানে এই সুবিধা বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার আরো জানান, রাজ্যে বর্তমানে ত্রিপল ইঞ্জিনের সরকার চলছে। সুতরাং টাকার কোন অভাব নেই। এই ক্ষেত্রে কর্মচারীদের ডিএ জমিয়ে রাখা উচিত নয়। তিনি বলেন, চাপ সৃষ্টি করে কেন্দ্রের কাছ থেকে টাকা এনে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ পরিষ্কার করে দেওয়া উচিত। এতে সবাই খুশি থাকবেন। বাণিজ্যে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এই ক্ষেত্রে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, রাজ্য সরকারের দুর্বলতা, ত্রুটি এবং আগ্রহের অভাবের কারণেই এটা সম্ভব হচ্ছে না।