দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ শাড়ি পড়তে গেলে পেটিকোটের সাহায্য নেন অনেকেই। তবে যতক্ষণ তারা এটির দড়ি বেঁধে থাকেন, ততক্ষণ কিছু টের না পেলেও বাড়ি ফিরে যখন বাঁধন আলগা করেন, তখন সেই জায়গায় জ্বালা ভাব অনুভূত হয়। আবার কারোর কারোর সেই জায়গাটা অসম্ভব চুলকায়। সেকারণে লম্বা সময় পেটিকোটের দড়ির বাঁধা থাকে বলে ওই অংশে কালশিটে পড়ে যায় কারও কারও। এর থেকে সেখানে ঘা পর্যন্ত হতে পারে। যাকে যা ‘শাড়ি বা ধুতি ক্যানসার’ বলা হয়ে থাকে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, বিভিন্ন ধরনের ত্বকের ক্যানসারের মধ্যে এটিও একটি। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে ‘স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা’ বা সংক্ষেপে ‘এসসিসি’বলা হয়। শল্য চিকিৎসক এবং ক্যানসার কেয়ার প্রোগ্রামের পরামর্শদাতা চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, “চামড়ায় যে কোষগুলো রয়েছে তাকেই বলা হয় স্কোয়ামাস সেল। সেই কোষগুলোয় যখন কিছু মৌলিক পরিবর্তন ঘটলে এবং হঠাৎ করে এরা বংশবিস্তার করতে শুরু করলে ত্বকের উপর ঘা হতে শুরু করে।”
ত্বকের যে কোনও রকম অস্বস্তি বা সংক্রমণ এই ক্যানসারের কারণ হতে পারে। কোমরের ভাঁজে দীর্ঘ ক্ষণ শক্ত করে দড়ি বা গার্ডার চেপে বসে থাকলে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। শুধু পেটিকোট পরলেই যে এমন সমস্যা হবে, তা নয়। শক্ত ইলাস্টিক দেওয়া প্যান্ট, অন্তর্বাস, ধুতি, লুঙ্গি— অর্থাৎ বাঁধন দিতে হয়, এমন পোশাক পরলেই ত্বকে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। দীপ্তেন্দ্রর কথায়, “শীতপ্রধান অঞ্চলে শরীর গরম রাখার জন্য সেখানকার বাসিন্দারা শরীরে হটপটের সেঁক দেন। সেখান থেকেও তো ত্বকে একধরনের ক্ষত তৈরি হয়। দীর্ঘ দিন ধরে এমনটা চলতে থাকলে সেখান থেকেও কিন্তু ক্যানসার হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে যা ‘কাংরি ক্যানসার’ নামে পরিচিত। আবার, ধরুন ছোটবেলায় কারও হাত পুড়ে গিয়েছিল। ক্ষত শুকিয়ে গেলেও সেই অংশটিতে মাঝে মধ্যেই কেমন যেন অস্বস্তি হয়, চুলকায়। দীর্ঘ দিন ধরে এমনটা হতে থাকলে সেই ক্ষতস্থানে বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে শুরু করে। যা আসলে মার্জোলিন আলসার। সেই কারণেই সানস্ক্রিন মাখতে ”