দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ মাঙ্কিপক্স । বছর দেড়েক আগে এদেশেও রীতিমতো দাপট দেখিয়েছিল এই ভাইরাস। গোটা বিশ্বের ১১০টিরও বেশি দেশে আতঙ্কের সঞ্চার করা সেই আদ্যপ্রাণী ফের নতুন করে ভয় ধরাতে শুরু করেছে। আফ্রিকার কঙ্গোতে রীতিমতো দাপট দেখানো মাঙ্কিপক্স ভাইরাস বা এমপক্স সম্ভবত পার্শ্ববর্তী দেশেও ছড়াতে শুরু করেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই পরিস্থিতিতে গবেষকরা বলছেন, সব দেশকেই সতর্ক থাকতে হবে। কেননা এমপক্সের নয়া স্ট্রেন আরও ভয়ংকর। যার প্রকোপে ঘটছে শিশুমৃত্যু এবং গর্ভপাতের মতো ঘটনা! রাওয়ান্ডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জিন ক্লড উডাহেমুকা বলছেন, ”সব দেশকে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা এই নতুন স্ট্রেন দ্রুত অন্যত্র ছড়িয়ে যাচ্ছে।”
২০২২ সালেও এমপক্সের এক নতুন স্ট্রেনের প্রকোপে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। যা মূলত সমকামী ও উভকামী মানুষদের মধ্যেই বেশি ছড়িয়েছিল। সেই স্ট্রেনের নাম ছিল ক্ল্যাড ২ স্ট্রেন। কিন্তু এবার ভয় দেখাচ্ছে ক্ল্যাড ১-ও। ১৯৭০ সালে প্রথমবার এর সন্ধান মিলেছিল। সেই স্ট্রেনই নতুন করে ফিরে এসে আতঙ্ক তৈরি করছে। মূলত পশুখাদ্য থেকেই তা ছড়াচ্ছে আফ্রিকায়। এটি অন্য স্ট্রেনটির থেকে ১০ গুণ ভয়ংকর। তবে নয়া স্ট্রেন ক্ল্যাড ১বি আরও বড় বিপদের কারণ হতে পারে, সেই আশঙ্কাই করছেন গবেষকরা! কেবলমাত্র কঙ্গোর দক্ষিণ কিভু প্রদেশেই আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে।
যদিও এখনও পর্যন্ত কঙ্গোর বাইরে সংক্রমণের কথা সরকারি ভাবে বলা হয়নি, কিন্তু মনে করা হচ্ছে আশপাশের দেশগুলোতেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক যৌনকর্মী প্রতিবেশী দেশ থেকে সংক্রমণ শরীরে নিয়ে খানে চিকিৎসার জন্য এসেছেন বলে জানা যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এবছরে ৩৮৪ জন মারা গিয়েছে এমপক্সে আক্রান্ত হয়ে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশই শিশু। স্বাভাবিক ভাবেই বাড়ছে আতঙ্ক। এখনও পর্যন্ত স্ট্রেনটির বিষয়ে বিশদে জানা যায়নি। পরিস্থিতির সঙ্গে এমনকী কোভিড-১৯ সংক্রমণের শুরুর দিনগুলোর মিল খুঁজে পাচ্ছেন কোনও কোনও গবেষক! আপাতত যা পরিস্থিতি তাকে ‘হিমশৈলের চূড়া’ বলে দাবি করছেন তাঁরা। পরামর্শ দিচ্ছেন সতর্ক হওয়ার।