দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ মনের ইচ্ছেতেই চলমান শরীরের গতিপথ নির্ধারিত হয়। এই পথে আবার মনের শান্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শান্ত মনেই তো সঠিক দিশা দেখা যায়! মনের জটিলতা বাড়ে অশান্তিতে। এই অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ধ্যান বা মেডিটেশনের পথ বেছে নেন। এদিকে একদল বিশেষজ্ঞ আবার দাবি করছেন, মন শান্ত হওয়ার বদলে ধ্যানের মাধ্যমে নাকি মানুষের মনে দুশ্চিন্তা-অশান্তি-অবসাদ বেশি হয়। এমনকী, অনেকের মধ্যে ভ্রমের সৃষ্টিও করে ধ্যান।
শোনা যায়, New Scientist ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল। সেখানে মানসিক অবসাদ-দুশ্চিন্তা-অশান্তি কমানোর জন্য ১২ জনের উপর পরীক্ষা করা হয়েছিল। প্রত্যেককে ধ্যান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। আশা করা হয়েছিল, এতে ভালো ফল পাওয়া যাবে। হয় ঠিক তার বিপরীত। ১২ জনের বেশিরভাগই জানান তাঁরা ধ্যানের খুব একটা ভালো ফল পাননি।
কী মনে হয়েছে তাঁদের? এই প্রশ্নের উত্তরে জানান, ধ্যানের মাধ্যমে তাঁরা আরও অশান্ত বোধ করেছেন। অনেকের মধ্যে ভ্রমেরও সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ আবার অশরীরীর অস্তিত্বের আভাসও পেয়েছেন। এতে তাঁদের শান্তি আরও নষ্ট হয়েছে। প্রসঙ্গত ২০১৭ সালে ব্রাউন ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও ধ্যান নিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হয়েছিল কিছু মানুষের মধ্যে। তাঁদেরও অধিকাংশ ধ্যান নিয়ে বিরূপ মত ব্যক্ত করেছিলেন। বলা হয়েছিল, অধিকাংশ মানুষ ধ্যানের পর নিজেদের অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারীও মনে করছেন। ভ্রমের শিকার হচ্ছেন। পরলৌকিক জগতের অস্তিত্বের আভাসও পাচ্ছেন অনেকে।
অবশ্য এই একই উপায়ে একাধিক মানুষের মন শান্ত হয়েছে। তাঁরা নিজেদের মনোসংযোগ বাড়াতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন। তাহলে আপনি কী করবেন? ভালো কিংবা মন্দ, তা একবার অবশ্যই নিজে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। প্রাচীনকাল থেকে মুনী-ঋষিরাও ধ্যানের পক্ষেই বিধান দিয়ে গিয়েছেন। তাছাড়া, আপনার শরীর ও মনের অবস্থা আপনিই সবচেয়ে ভালো বুঝতে পারবেন। তাই নিজের অভিজ্ঞতার পরই সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে হ্যাঁ, অসুবিধা মনে হলেই বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেবেন।