kolkata

1 week ago

Passenger agitation in Howrah Station:সময়ে আসেনি ট্রেন,হাওড়া স্টেশনে যাত্রী বিক্ষোভ,ভাঙচুরের চেষ্টা ক্ষুব্ধ জনতার

Passenger agitation in Howrah Station
Passenger agitation in Howrah Station

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সময়ে ট্রেন না পেয়ে হাওড়া স্টেশনে যাত্রী বিক্ষোভ। বিক্ষোভের জেরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্সে। কাচ ভাঙল অনুসন্ধান অফিসের। মেঝেতে ছুড়ে ফেলা হল ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড। শেষ পর্যন্ত অকুস্থলে এসে রেলের আধিকারিকেরা ক্ষুব্ধ যাত্রীদের পরিবর্তিত সময়সূচি জানান। তার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।

বারবিলগামী  জন শতাব্দী এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেন সময়ে আসেনি। এমনকী কেন ট্রেন সময়ে আসছে না, তার কোনও কারণ জানান হয়নি। যার জেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করায়, একসময় মেজাজ হারান যাত্রীদের একাংশ। সেই সময়েই ঘটে যায় এই ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আরপিএফ। দক্ষিণ পূর্ব রেলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রেন ছাড়ার পরবর্তী সময়সূচি জানালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

এই বিষয়ে দক্ষিণ পূর্ব রেলের সিনিয়র ডেপুটি ডিসিএম(খড়গপুর)জানান, ট্রেনেটির রেক প্লেসমেন্ট করতে দেরী হয়। যে কারণে সমস্যা হয়। যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে ঠিক কী কারনে দেরি হল তা জানতে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠান হচ্ছে। আধিকারিকরা হাওড়া যাচ্ছেন। তাঁদের রিপোর্ট পেলেই জানা যাবে। দশটা নাগাদ ট্রেন দেওয়া হয় কুড়ি নম্বর প্লাটফর্মে। তারপর ট্রেনটি হাওড়া স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় যাত্রীদের নিয়ে। তবে রেলের একটা সূত্রে মারফত জানা গিয়েছে, ট্রেনটি বেশ কিছু দেরিতে এসেছিল। তারপর রেগুলার চেকিং চলার সময় ট্রেনের তিনটি কামরা ও পাওয়ার কার-এ সমস্যা দেখা যায়। ফলে সেই কামরাগুলি কেটে অন্য কামরা লাগানো হয়। আর সেই কারণেই এই ঘটনা।

লোকাল হোক বা এক্সপ্রেস, ট্রেন সময়ে চলে না বলে প্রায় প্রতিদিনই অভিযোগ ওঠে যাত্রীদের তরফ থেকে। হাওড়া হোক বা শিয়ালদা ডিভিশন, চিত্রটা সর্বত্রই এক। কয়েক মাস আগেই ট্রেন দেরিতে চলাচর জন্য যাত্রী বিক্ষোভের খবর উঠে আসে। গতবছর নভেম্বর মাসের শেষের দিকে, খড়গপুরগামী ডাউন টাটানগর - খড়গপুর লোকাল ট্রেন অনেকটা দেরিতে ঝাড়গ্রাম স্টেশনে পৌঁছয়। আর তাতেই তৈরি হয় সমস্যা। ওই দিন টাটানগর-খড়গপুর লোকাল বেশ কিছুটা দেরিতে ঝাড়গ্রাম স্টেশনে পৌঁছয়। তিন নম্বর প্লাটফর্মের পরিবর্তে ট্রেনটিকে এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। আর তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীদের একাংশ। দীর্ঘক্ষণ ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে রাখার ফলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। যার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।


You might also like!