কলকাতা : আচমকা একগুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ‘ভিসি’-র নাম চূড়ান্ত করলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। এই নিয়ে আলোড়ণ তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
গত এক মাস ধরেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যহীন হয়ে রয়েছে। বুধবার রাজ্যের ৬টি বিশ্ববিদ্যালয় অস্থায়ী উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। গত ২৮ মে ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।ফলে, বৃহস্পতিবার থেকেই রাজ্যের ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যহীন হয়ে পড়ে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য পদে নিয়োগ করা হয়েছে শান্তা দত্তকে। তিনি বিহারিলাল গার্লস কলেজের হোম সায়েন্স বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্তকে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কল্যাণী, বর্ধমান ও সংস্কৃত— এই তিন বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে অমলেন্দু ভুঁইয়া, বিশ্বজিৎ ঘোষ ও রাজকুমার কোঠারিকে। ওঁরা তিন জন যথাক্রমে কল্যাণী, বর্ধমান ও ডায়মণ্ডহারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
আসানসোল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য করা হয়েছে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এ ছাড়া গৌড় বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপককে অস্থায়ী উপাচার্য করা হয়েছে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের। উপাচার্য নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি রয়েছে রাজ্যের। সেই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ীই উপাচার্য নিয়োগ করা হয়। তবে এ ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটেনি। আচার্যের এই একতরফা নিয়োগে শিক্ষা দফতর ক্ষুব্ধ বলে সূত্রের খবর।এর আগে রাজ্যপাল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছ থেকে সাপ্তাহিক রিপোর্ট তলব করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল শিক্ষা দফতর। আর এবার শিক্ষা দফতরকে না জানিয়ে নিয়োগ করে দেওয়ায় সংঘাত যে আরও চরমে পৌঁছল, তা বলার অপেক্ষা করে না।