কলকাতা, ১ মে : মেছুয়ার আগুন লেগে যাওয়া হোটেলে বৃহস্পতিবার যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে এক সংখ্যালঘু যুবক এসে তাঁকে বলেন,'বড়বাজারে আগুনে মানুষ মরছে, অথচ দিঘার মন্দিরে দ্বারোদঘাটন করেন মুখ্যমন্ত্রী'। ওই যুবককে পাশে থাকার আশ্বাস দেন শুভেন্দু। এলাকায় অব্যবস্থা এবং অগ্নিনির্বাপনে ব্যর্থতা নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা। ঘটনার প্রতিবাদে জোড়াসাঁকো থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হবে। আগামী সপ্তাহে কর্পোরেশনেও বড় ধরনের বিক্ষোভ সভা করা হবে বলে তিনি জানান।
ওই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, "কলকাতাকে জতুগৃহে পরিণত করে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আস্ত সরকার দিঘায় ছুটি কাটাতে চলে গিয়েছিল। ওরা জলসা নিয়ে ব্যস্ত। দমকলের হাইড্রোলিক ল্যাডারও ছিল না। দ্রুত উদ্ধারকার্য শুরু করলে প্রাণহানির সংখ্যা অনেক কমানো যেত।" শুভেন্দুবাবুর কথায়, "আমরি, স্টিফেন কোর্ট থেকে বড়বাজার একের পর এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে চলেছে। অথচ অগ্নি নির্বাপণ নিয়ে সরকারের কোনও হেলদোল নেই। কারণ, পুরো সরকারটাই দিঘাতে লাল, নীল জলের ফোয়ারাতে ব্যস্ত ছিল।"
জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে সোমবার থেকে দিঘায় রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার তিনি কলকাতায় ফেরেন। বড়বাজারের মেছুয়ার হোটেলে কীভাবে আগুন লাগল? কীভাবে এতটা ছড়াল? তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সন্ধেয় বড়বাজারের একটি ছ'তলা হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন থেকে বাঁচতে লাফ দিয়ে মৃত্যু হয় একজনের। পরে হোটেলের ঘরে দমবন্ধ অবস্থায় আরও ১৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।