kolkata

2 weeks ago

Sandip Ghosh: আরজি কর দুর্নীতি-কাণ্ডে গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষ 

Sandip Ghosh (Symbolic Picture)
Sandip Ghosh (Symbolic Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- অবশেষে গ্রেফতার করা হল সন্দীপ ঘোষকে সোমবার সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই ৷আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ খুনের মামলায় গত দুসপ্তাহ ধরে সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে হাজিরা দিচ্ছিলেন সন্দীপ ঘোষ সোমবারও তিনি সেখানে গিয়েছিলেন সন্ধ্যায় তাঁকে সিজিও থেকে বের করে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা তার পরই জানা যায় যে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে

গত অগস্ট আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর থেকেই তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে নানা মহলে। গত ১৫ অগস্ট তাঁকে প্রথম বার তলব করে সিবিআই। সে দিন হাজিরা দেননি সন্দীপ। পর দিন অবশ্য রাস্তা থেকে সোজা সিবিআইয়ের গাড়িতে ওঠেন তিনি। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে। তার পর থেকে ২৪ অগস্ট পর্যন্ত টানা ১৪ দিন তাঁকে তলব করা হয় সিজিওতে। দৈনিক ১০ থেকে ১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত সিবিআই দফতরে থাকতে হয়েছিল সন্দীপকে।

গত ২৫ অগস্ট সকালে সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআইয়ের একটি দল। ৭৫ মিনিট বাইরে অপেক্ষার পর দরজা খোলেন সন্দীপ। ভিতরে ঢোকেন সিবিআই কর্তারা। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ খুনের ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। ছাড়া, ওই হাসপাতালে আর্থিক অনিয়মের মামলার তদন্তভারও সিবিআইয়ের হাতে দিয়েছে আদালত। দুটি মামলাতেই কেন্দ্রীয় সংস্থার জোড়া আতশকাচের নীচে রয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। আর্থিক অনিয়মের মামলায় ২৪ অগস্ট এফআইআরও করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, সেই এফআইআরের ভিত্তিতেই সন্দীপের বাড়িতে পৌঁছেছিল সিবিআইয়ের দল। তার মাঝে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে সন্দীপ-সহ মোট সাত জনের পলিগ্রাফ পরীক্ষাও করেছিল সিবিআই।

 মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর থেকে আরজি করে যে আন্দোলন শুরু হয়, তাতে আবাসিক চিকিৎসক থেকে পড়ুয়া, সকলেরই অন্যতম দাবি ছিল সন্দীপের অপসারণ কিংবা পদত্যাগ। আন্দোলনের চাপে পড়ে ১২ অগস্ট পদত্যাগ করেন সন্দীপ। স্বাস্থ্য দফতরে গিয়ে নিজের পদত্যাগপত্র জমাও দেন। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সন্দীপকে কলকাতার অন্য একটি সরকারি হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। সেখান থেকেও তাঁর অপসারণের দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন। এর মাঝে মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দেয় সন্দীপকে ছুটিতে যেতে। সেই থেকে ছুটিতেই ছিলেন সন্দীপ। পরে অবশ্য আন্দোলনের চাপে তাঁকে সেই পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়।

 

You might also like!