দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: উচ্চতা বা হাইট এটি আমাদের জীবনের সাথে জড়িত বিশেষ অংশ। উচ্চতা জিনগত কারণে নির্ধারিত হলেও পুষ্টি, শারীরিক কার্যকলাপ ও জীবনযাত্রার ধরন প্রভাব ফেলে। একজন মানুষের উচ্চতা সঠিক শারীরিক গঠনের গঠনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি মূলত জিনগত কারণে নির্ধারিত হলেও পুষ্টি, শারীরিক কার্যকলাপ এবং জীবনযাত্রার ধরন উচ্চতার ওপর বড়সড় প্রভাব ফেলে। এই উচ্চতা মূলত শিশু কাল থেকে ১৮-২১ বছর বয়সের মধ্যে স্থিতিশীল হয়ে যায়। তবে ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ বছর পর্যন্ত এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৬-১৮ বছর পর্যন্ত উচ্চতা বাড়ার প্রবণতা দেখা যায়। এরপর উচ্চতা অপরিবর্তিত অবস্থায় থাকে।
মনে রাখবেন, প্রত্যেক বয়সে একটি নির্দিষ্ট গড় উচ্চতা থাকা স্বাভাবিক। যদি এর অনথ্যা হয় তবে শারীরিক অসুস্থতা লক্ষ্যণীয়। তাই চলুন জেনে নিই, বয়স অনুযায়ী গড় উচ্চতার একটি তালিকা:
১) ছেলে ও মেয়েদের গড় উচ্চতা (বয়স অনুযায়ী)--- শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের জন্য: ছেলেরা – ৮৫-৯২ সেমি, মেয়েরা – ৮৩-৯০ সেমি ছেলেরা – ১০৭-১১৫ সেমি, মেয়েরা – ১০৫-১১৩ সেমি ছেলেরা – ১৩৭-১৪২ সেমি, মেয়েরা – ১৩৮-১৪৪ সেমি
২) কিশোর ও তরুণদের জন্য: ১৩ বছর: ছেলেরা – ১৪৯-১৫৭ সেমি, মেয়েরা – ১৫২-১৫৭ সেমি ১৫ বছর: ছেলেরা – ১৬৪-১৭২ সেমি, মেয়েরা – ১৫৬-১৬২ সেমি ১৮ বছর: ছেলেরা – ১৭০-১৭৭ সেমি, মেয়েরা – ১৫৮-১৬৫ সেমি
৩) প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য: ২০ বছর ও তার বেশি: ছেলেদের গড় উচ্চতা – ১৬৫-১৭৮ সেমি (৫ ফুট ৫ ইঞ্চি – ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি) মেয়েদের গড় উচ্চতা – ১৫৫-১৬৫ সেমি (৫ ফুট ১ ইঞ্চি – ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি)
* জেনে নিন, কীভাবে উচ্চতা বৃদ্ধি হয় :
* সাধারণত ১৮-২১ বছর বয়স পর্যন্ত উচ্চতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম ও নিয়মিত শরীরচর্চা উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। হরমোনজনিত বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
* নিয়মিত দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, ঝুলে থাকা এবং যোগব্যায়াম উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে। দিনে কমপক্ষে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন, কারণ ঘুমের সময় হরমোন নিঃসরণ হয় যা উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
* যাঁদের উচ্চতা কম তাঁরা মেনে চলুন কয়েকটি টিপস্:
* প্রতিদিন ব্যালান্সড ডায়েট মেনে চলুন।
* দুধ, ডিম, বাদাম, সবুজ শাকসবজি ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান। * শরীরচর্চা ও স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করুন।
* পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং স্ট্রেস এড়িয়ে চলুন।
* প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
উচ্চতা কম হলে মন খারাপ করবেন না, দুশ্চিন্তা একদমই নয়.... চিন্তাহীন জীবন যাপন করুন, মোদ্দা কথা সুস্থ থাকুন সর্বদাই। সুস্থ ভাবেই জীবনযাপন বেঁচে থাকার আসল চাবিকাঠি।