দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ আধুনিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার জন্য ফ্যাটিলিভার এখন একটা খুব প্ৰচলিত রোগ। কিন্তু মারাত্মক রোগ। ফ্যাটিলিভার প্রধানত দু'প্রকার - এলকোহলিক ফ্যাটি লিভার ও নন-এলকোহলিক ফ্যাটি লিভার। যে ধরনের ফ্যাটি লিভার হোক দুটো অন্যতম কাজ হলো এলকোহল একদম বন্ধ করা আর খাদ্য তালিকায় কিছু পরিবর্তন আনা। খাদ্যের বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন কয়েকটি জিনিস নিয়ম করে খাদ্য তালিকায় রাখুন।যেমন -
১) ওটস- ওটসে ডায়েটারি ফাইবার পাওয়া যায়। এটি খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরে যায়। এতে খুব বেশি পরিমাণে লো ফ্যাট এবং ফাইবার রয়েছে। এটি খাওয়া ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
২) ফল- অল্প পরিমাণে ফলও লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কমলা ও আঙ্গুরের মতো সাইট্রাস ফল লিভারের জন্য ভালো। কমলালেবুতে উপস্থিত ভিটামিন সি লিভারে চর্বি জমতে বাধা দেয়। আঙুরে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারকেও রক্ষা করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি লিভারকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। একইভাবে, ব্লুবেরির নির্যাস এবং আঙ্গুরের বীজের নির্যাস লিভারের ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিকে ধীর করে দেয়।
৩)অ্যাভোকাডো- অ্যাভোকাডোতে অসম্পৃক্ত চর্বি পাওয়া যায়। এছাড়াও, এটি ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি খুব ভাল উৎস হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি খেলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত লিভারও মেরামত করে।
৪) শাক-সবজি- ডায়েটে শাক-সবজি অন্তর্ভুক্ত করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। এটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ করতে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে। এটি লিভারের জন্য বিশেষভাবে ভালো। এর মধ্যে রয়েছে ব্রকলি, ফুলকপি, ব্রাসেলস স্প্রাউট, পালং শাক।
৫) রসুন- ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রসুন খুবই উপকারী বলে প্রমাণিত হয়। এছাড়া ওজন কমাতেও রসুনকে খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়।