কলকাতা, ২০ জানুয়ারি : আর জি করে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুন মামলায় দোষী সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু জেলের সাজা আদালতের। ঘটনার ১৬৪ দিনের মাথায় দোষীর সাজা ঘোষণা করলেন শিয়ালদা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস।এই সঙ্গে দোষীর জরিমানা করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়াও ধর্ষণের জন্য ৭ লক্ষ এবং হত্যার জন্য ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা হয়েছে। বিচারক বলেন, ‘‘রাষ্ট্রের দায়িত্ব নির্যাতিতার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার।’’
সাজা ঘোষণার আগে এদিন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজেকে বারবার নির্দোষ বলে দাবি করে সঞ্জয়। ফের রুদ্রাক্ষ তত্ত্ব খাড়া করার চেষ্টা করে সে। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কেঁদেও ফেলে সঞ্জয়। প্রথমার্ধে ৩২ মিনিট শুনানির পর আদালত কক্ষ ফাঁকা করে দিতে বলেন বিচারক অনির্বাণ দাস। দুপুর ২.৪৫ মিনিট নাগাদ সাজা ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।
বিচারক দাস বলেন, ‘‘আপনাকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত জেলে থাকতে হবে।’’ আদালতের নির্দেশ শুনে কাঁদো কাঁদো দেখা গেল দোষী সঞ্জয় রায়কে। বিড়বিড় করে কিছু বলতে থাকেন তিনি।শনিবার, সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণের জন্য মৃত্যু), ১০৩ (১) (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাকে।
গত বছরের ৯ আগস্ট, হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয় তাঁকে। তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ। ১০ আগস্ট এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়। গত ১২ আগস্ট নির্যাতিতার বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী। শোকস্তব্ধ পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। গত ১৩ আগস্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত।