দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: চিনিতে অনীহা অনেকের। আবার অনেকে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চিনি খাননা। তবে তাঁরা কিন্তু স্বাদ মেটানোর জন্য খেজুর খেতেই পারেন। ওজন ঝরানোর জন্য ডায়েটে খেজুর গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামে সমৃদ্ধ খেজুর শরীরের আরও অনেক উপকার করে। খেজুরের আচার, চাটনি কিংবা পুজোর প্রসাদ, সর্বত্রই খেজুর জনপ্রিয় উপাদান। শীতের মরশুমেও সুস্বাস্থ্যের জন্য খেজুর প্রয়োজনীয় উপাদান। তাই পুষ্টিবিদরা মনে করেন, নিয়মিত খেজুর খেলে আপনার স্বাস্থের মান উন্নত হবে।
জেনে নিন, মানবদেহে খেজুরের কার্যকারিতাঃ
১) হজমে সহায়কঃ হজমের সমস্যা থাকলে খেজুর ভীষণ উপকার। বিশেষ করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় খেজুর দাওয়াই হিসাবে কাজ করে।
২) হার্টের সুরক্ষায়ঃ হার্টের রোগীদের জন্য খেজুর ভীষণ ভাল। কারণ খেজুরে রয়েছে পটাশিয়াম। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে না দেওয়া, খেজুরের গুণের শেষ নেই।
৩) হাড়ের যত্নেঃ একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর থেকে আমাদের হাড় ক্ষয় হতে শুরু করে। তাই আগে থেকে হাড়ের দেখাশোনা করা প্রয়োজন। খেজুর হাড়ের জন্য ভালো। ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়ামের মতো খনিজ উপাদান রয়েছে খেজুরে। এই প্রতিটি উপাদান হাড় শক্তিশালী ও মজবুত করে।
৪) হাঁপানির যমঃ শীতকালে আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে বহু মানুষ হাঁপানিতে ভোগেন। চিকিৎসক এবং আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে এবং সন্ধ্যায় ১ বা ২ টি করে খেজুর খেলে শরীর গরম থাকে, হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৫) ত্বকের যত্নেঃ অনেকসময় ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, এই শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রত্যহ খেজুর খান। এটি ত্বকের বলিরেখা নিয়ন্ত্রনেও সহায়ক।
৬) ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়কঃ ওজন বাড়াতে বা কমাতে খেজুর বেশ সাহায্য করে। এতে থাকা শর্করা, প্রোটিন ও অন্যান্য ভিটামিন ওজন বৃ করতে কার্যকরী। মনে রাখবেন, শশা,খেজুর একসাথে খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।