Health

15 hours ago

Vitamin D: সূর্যের রশ্মিই ভিটামিন ডি-র মূল উৎস নয়, বেশ কিছু পরিচিত সবজিও এই ভিটামিনের উৎস! নিম্নে বিস্তারিত উল্লেখিত হল

Vitamin D (Symbolic picture)
Vitamin D (Symbolic picture)

 

দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: সুস্থ শরীরের জন্য ভিটামিন ভীষণ প্রয়োজনীয়। সকল প্রকার ভিটামিনের মধ্যে মানবদেহের সুস্থতার জন্য ভিটামিন ডি আবশ্যক। আর এই ভিটামিন ডি গ্ৰহণ করা বেশ সহজ। সূর্যের তাপ নিলে শরীরের ভিটামিন ডি অনেকাংশে প্রাপ্ত হয়। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শারীরিক অবস্থা এবং মানসিক অবস্থা উভয়কেই ভালো রাখতে ভিটামিন ডি প্রাসঙ্গিক। ভিটামিন ডি হাড়-পেশির স্বাস্থ্য ভাল রাখতে পারে, ভিটামিন ডি-র অভাব হলে পেশি দুর্বল হয়ে যায়, অস্টিওপোরোসিসের মতো সমস্যা তৈরি হয়, রোগ প্রতিরোধ শক্তিও কমে যায়। তাই শরীরে নানান রোগের প্রকোপ কমাতে ভিটামিন ডি-র ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি।

যারা কর্মরত, তাঁদের সারাটাদিন কর্মক্ষেত্রেই অতিবাহিত হয়, আর সেই পরিবেশে রোদ একেবারেই অস্তিত্বহীন। তাই কিছু পুষ্টিকর খাবার গ্ৰহণের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। যেমন, সাধারণত দুগ্ধজাত খাবার, ডিমের কুসুম, মাখন, তৈলাক্ত মাছে ভিটামিন ডি থাকে। তা ছাড়া কিছু শাকসব্জিও আছে, যা অন্য খাবার থেকে ভিটামিন ডি গ্রহণ করার ক্ষমতাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই সবজি গুলোকে প্রাধান্য দিন, শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখুন। 

কী কী সবজি এক্ষেত্রে কার্যকরী? নিম্নে উল্লেখিত হল, 

১) লাউ: লাউ দিয়ে চিংড়ির ঘণ্ট রাঁধা হয়। আবার রোগা হতে চান যাঁরা, তাঁদের অনেকে সাতসকালে লাউয়ের রস খান। শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব মেটাতেও লাউ খেতে পারেন।

২) পালং শাক: পালং শাকের গুণের কমতি নেই। খেতেও ভাল। শীতের বাজারে পাওয়াও যায় অনেক বেশি। পালং শাকে থাকা নানা পুষ্টিগুণ শরীরকে ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে সাহায্য করে।

৩) করলা: করলা ভাজা থেকে শুরু করে করলার রস— সবই খাওয়ার চল আছে। যাঁরা খান, তাঁদের শরীরে অন্যান্য খাবারের থেকে ভিটামিন ডি সংগ্রহের ক্ষমতা বাড়বে।

৪) ঝিঙে: ঝিঙে দেখলে অনেকেই নাক সিঁটকোন। তবে ঝিঙেয় থাকা অন্যান্য পুষ্টিগুণের পাশাপাশি ওই সব্জি ভিটামিন ডি গ্রহণেও সহায়ক।

৫) রাঙা আলু: আলুর সঙ্গে যখন বাংলার পরিচয় হয়নি, তখন এই রাঙা আলুই ছিল বাঙালির ভরসা। পুষ্টিকর এবং ফাইবারে সমৃদ্ধ রাঙা আলুতে সামান্য পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে।

৬) কুমড়ো: কুমড়ো দিয়ে ছক্কাও হাঁকাতে পারে বাঙালি। ছুটির সকালে পরোটা বা লুচির সঙ্গে কুমড়োর ছক্কা থাকলে জমে যায় জলখাবার। কুমড়োও ভিটামিন ডি গ্রহণে সাহায্য করে।

৭) ডাঁটা: ঝোল হোক বা শুক্তো বা চচ্চড়ি, ডাঁটা চিবোতে ভালবাসে বাঙালি। সেই ডাঁটাতেও রয়েছে অতি সামান্য ভিটামিন ডি।

৮) মাশরুম: কিছু কিছু মাশরুম আছে, যা রোদে বাড়ে, তাতে সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি থেকে তৈরি হয় ভিটামিন ডি। তবে ছায়ায় বাড়লে, মাশরুমে ভিটামিন ডি তৈরি হয় না।

You might also like!