দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: শীতের মরশুম মানেই বৈচিত্র্যময় সবজির রমরমা। এই সময় বাজারে গেলেই নজর কাড়ে নানান সবজি। একেকটি সবজির একেকরকম গুনাগুন। প্রত্যেকটি সবজিই রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এদের মধ্যে থেকে সমান গুরুত্বপূর্ণ গাঁজর। এটি শরীর ভালো রাখতে দারুন কাজ করে। বিটাক্যারোটিন, ফাইবার, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই সবজি। এমনকি এটি শারীরিক ওজন কমাতেও ভীষণ প্রাসঙ্গিক। নিম্নে উল্লেখিত হলো বিস্তারিত:
১। কর্কটের যম ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ সবজি ডায়েটে বেশি মাত্রায় থাকলে প্রস্টেট ক্যানসারের রিস্ক কমানো সম্ভব। গাঁজরে উপস্থিত বিটা ক্যারোটিন ফুসফুস ক্যানসার প্রতিরোধ করে। ধূমপায়ীরা বেশি গাঁজর খেয়ে ফুসফুস, কোলন ক্যানসার এড়ান। গাঁজরের রস লিউকোমিয়া সেল নষ্ট করতেও সাহায্য করে।
২। দৃষ্টিশক্তি ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের তথ্য বলছে, শিশুর দৃষ্টিশক্তি কমার পিছনে দায়ী ভিটামিন এ-র অভাব। এই ভিটামিনের অভাবে রাতে দেখতে না পাওয়ার সমস্যাও হয়। গাঁজর ভিটামিন এ-র সবচেয়ে ভালো উৎস। ফলে শিশুর ডায়েটে এই সবজি অবশ্যই রাখবেন।
৩। শীতকালে ঠান্ডা লাগার সমস্যা, সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো উচিত। তার জন্য প্রয়োজন ইমিউনিটি। গাঁজরের ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও গাঁজরে থাকে লাইকোপেন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
৪। ডায়াবিটিসেও গাঁজর উপকারী। এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সাইটোকেমিক্যাল, যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। গাঁজর খেতে মিষ্টি হলেও এতে সুগারের মাত্রা খুবই কম। তাই ডায়াবেটিস থাকলে নিশ্চিন্তে খান গাঁজর। এই শীতে তাহলে ডেজার্টের জন্য একটু গাঁজরের হালুয়া রাখতেই পারেন।
৫। কুচি কুচি করে কাটা হাফকাপ গাঁজরে থাকে ১.৮ গ্রাম ফাইবার ও ২০৫ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম। রক্তচাপ কমাতে ও হার্ট ভালো রাখতে সোডিয়াম কম কিন্তু পটাশিয়াম ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। এই নিউট্রেন্টের ব্যালান্স সোর্স হল গাঁজর।
৬। গাঁজর ওজন কমায়। কমলা রঙের এই সবজি খেলে তৃপ্ত হয় মন। যা বেশি খাবার খাওয়ার ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রণ করে। শরীরে ক্যালোরি কম মাত্রায় দ্রবীভূত হয়। ওজন কমানোর ডায়েটে তাই গাঁজর মাস্ট।