
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: বছর শেষের উৎসব মানেই রাতভর পার্টি, মদ্যপান, নাচগান আর বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দীর্ঘ আড্ডা। সঙ্গে ভরপেট খাওয়াদাওয়া ও রাতজাগা—সব মিলিয়ে এই সময়ে অনেকেই নিয়মহীন জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, এই লাগামছাড়া অভ্যাসই ডেকে আনছে মারাত্মক শারীরিক বিপদ।
বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা অনুযায়ী, বর্তমানে ৪৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক, বুক ধড়ফড় করা ও হঠাৎ হৃদস্পন্দন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলা হচ্ছে ‘হলিডে হার্ট সিনড্রোম’ (Holiday Heart Syndrome)।
* কেন বাড়ছে এই ঝুঁকি?
বিশেষজ্ঞদের মতে, উৎসবের সময় কয়েকটি অনিয়ম হার্টের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে। কী কী?
১) অল্প সময়ে প্রচুর মদ্যপান হার্টের ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেম নষ্ট করে দেয়। এর ফলে ‘অ্যাট্রিয়াল ফিব্রিলেশন’ বা হঠাৎ বুক ধড়ফড় করার সমস্যা দেখা দেয়।
২) পার্টি স্ন্যাকস বা প্রসেসড খাবারে প্রচুর সোডিয়াম থাকে। এটি রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেশার হঠাৎ বাড়িয়ে করে বাড়িয়ে দেয়।
৩) রাত জাগা, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব এবং শারীরিক চাপ হার্টের ওপর বাড়তি বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।
৪) অনেকের হয়তো আগে থেকেই হার্টের ছোটখাটো সমস্যা থাকতে পারে। উৎসবের এই ‘পারফেক্ট স্টর্ম’ বা অনিয়মের ঝড় সেই সুপ্ত রোগকে বড় বিপদে বদলে দেয়। একে চিকিৎসকরা ‘ক্রিসমাস করোনারি এফেক্ট’ও বলে থাকেন।
* সুস্থ থাকতে করণীয় কী?
১. মদ্যপানে নিয়ন্ত্রণ রাখুন। মদের সঙ্গে প্রচুর জল পান করুন।
২. অতিরিক্ত নোনতা ও ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন।
৩. পার্টি শেষে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
৪. বুক ধড়ফড় করা, মাথা ঘোরা বা শ্বাসকষ্ট হলে অবহেলা করবেন না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
